দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশানের কার্যালয়ে করোনা পরীক্ষা পর্যটকদের। নিজস্ব চিত্র
ব্যবসা বাঁচাতে এ বার দিঘায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের কোভিড পরীক্ষার দায়িত্ব এ বার নিজেদের কাঁধেই নিল দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। বিনামূল্যে করানো হবে ওই পরীক্ষা। দিঘার কোনও হোটেলে ঘর ভাড়া নিলে পর্যটকদের করোনা পরীক্ষা করাবে হোটেল ব্যবসায়ীদের ওই সংগঠনই। বুধবার থেকেই ওল্ড দিঘায়, সংগঠনের কার্যালয়ে শুরু হয়েছে পরীক্ষা।
সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যত জন পর্যটক আসবেন তাঁদের কোভিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে। কিছু সময়ের মধ্যেই এই পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়া যায়। তাই পর্যটকদের এই রিপোর্ট হাতে নিয়ে হোটেলে প্রবেশ করতে কোনও সমস্যা হবে না।’’ বুধবার থেকে টানা ১৫ দিন ধরে দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীদের ওই সংগঠনটি করোনা পরীক্ষা চালিয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন বিপ্রদাস। পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে সম্প্রতি দিঘায় প্রবেশের ক্ষেত্রে পর্যটকদের দু’টি টিকা অথবা করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহের শুরুতেই এই নির্দেশিকা জারি করে কাঁথি মহকুমা প্রশাসন। ওই নির্দেশিকাকে ঘিরেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ, আগাম বুকিং করে রাখা সত্বেও অনেক পর্যটকই দিঘা থেকে ফিরে যাচ্ছেন। কারণ,পর্যটকদের কয়েকজন করোনার দ্বিতীয় টিকা পেলেও অনেকে প্রথম টিকা পেয়েছেন,অনেকে আবার কোনও টিকাই পাননি। অনেকে কম সময়ের মধ্যে কোথা থেকে কোভিড পরীক্ষা করানো যাবে তা নিয়ে ধন্ধে। ফলে নয়া নির্দেশিকা ঘিরে কিছুটা বিপাকে পর্যটকরা। অন্যদিকে হোটেল ব্যবসায়ীরাও প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে আতান্তরে পড়েছিলেন। হোটেল খুলে রাখতে প্রতি দিন গ্যাঁটের কড়ি খরচ করতে হচ্ছে তাঁদের। দিতে হচ্ছে কর্মীদের বেতন। কিন্তু পর্যটকরা এলেও করোনা বিধির কড়াকড়িতে তাঁদের ঘর ভাড়া দেওয়া যাচ্ছে না। এর মাঝেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সাফ জানিয়ে দেয়, পর্যটকদের করোনা পরীক্ষার দায়িত্ব তারা বহন করবে না।
করোনা পরীক্ষা করতে উপস্থিত পর্যটকরা। নিজস্ব চিত্র
এমন পরিস্থিতিতে এ বার এগিয়ে এল দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠনই। ব্যবসায়ীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় দিঘাতেই খুলে ফেলা হয়েছে করোনা পরীক্ষা শিবির। এ ছাড়াও দিঘার অঘোর কামিনী ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।