অমিত শাহের মন্ত্রকের তরফে ফোন এল এনআইএ-র উপর হামলা নিয়ে। —ফাইল চিত্র।
কী ভাবে এনআইএ-র উপর হামলা হল? পুরো ঘটনা জানতে শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ফোন এল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানায়। পুলিশের একটি সূত্রে খবর, এনআইএ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ১২ ঘণ্টার মধ্যে ভূপতিনগর থানা থেকে রিপোর্ট তলব করেছে অমিত শাহের মন্ত্রক।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকালে এনআইএ-র মোট তিনটি দল আলাদা ভাবে ভূপতিনগরে ঢুকেছিল। তাদের মধ্যে দু’টি দল ২০২২ সালের বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে দুই তৃণমূল নেতার বাড়িতে যায়। একটি দল আসে ভূপতিনগর থানায়। এলাকায় অভিযানে নামার কথা বলে পুলিশের সাহায্য চায় ওই দল। পুলিশের তরফেও সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু তার মধ্যেই খবর আসে থানায় যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং হামলা হয়েছে।
এনআইএ অভিযান নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “আজ খুব সকালে ভূপতিনগর থানায় একটি দল এসেছিল। থানার তরফ থেকে সমস্ত রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এই দলটি যখন থানা থেকে বেরোচ্ছিল, সেই সময় খবর আসে যে এনআইএ-র আরও কয়েকটি দল আগে থেকেই ভূপতিনগরের গ্রামে পৌঁছে গিয়েছিল। তারা দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে। সেখানেই ওই সময় উত্তেজনা ছড়ায়।’’ পুলিশ সুপার জানান, একটি গাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক জন অল্প আহত হয়েছেন। ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার তদন্তও শুরু হয়েছে। পুলিশ সুপার আরও জানান, হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে পুলিশ। সূত্রের খবর, শাহি মন্ত্রককে জানানো হয়েছে, এ ক্ষেত্রে পুলিশের কোনও গাফিলতি ছিল না। তারা নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে।
ভূপতিনগরকাণ্ডে দুই তৃণমূল নেতা বলাইচরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানাকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। আগামী বুধবার পর্যন্ত তাঁদের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এনআইএ-র উপর হামলা নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তথা রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘এনআইএ সংবিধান স্বীকৃত এমন একটা সংস্থা যারা দেশকে সুরক্ষিত রাখার কাজ করে। পাশাপাশি, দেশের ভিতরে যারা দেশকে দুর্বল করার কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধেও লড়াই করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাষায় এনআইএ-কে আক্রমণ করেছেন, তাতে তিনি ভারতের সংবিধানকে আক্রমণ করেছেন।’’ মুখ্যমন্ত্রীর ‘পুলিশকে না জানিয়ে এনআইএ তদন্ত’ মন্তব্য নিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘আগে ওই পুলিশ সুপারকে ‘স্যাক’ করা উচিত।’’