দামি: জোগান কম, তাই চড়ছে দাম।
প্রথম দফা হতাশ করেছিল। দ্বিতীয় দফাতেও একই ছবি। ইলিশের দেখা নেই।
দিঘা, শঙ্করপুর, শৌলা, জুনপুট, পেটুয়াঘাট—কাঁথি মহকুমার এই মৎস্য বন্দরগুলোতে অন্যান্য বছরে এই সময় ট্রলার থেকে ইলিশ নামার ছবি দেখতেই অভ্যস্ত ছিল সকলে। কিন্তু এ বার সেই ছবি অদৃশ্য। মঙ্গলবার ভোরে দিঘা মোহনায় অধিকাংশ ট্রলার ফিরে এসেছে। প্রথম দফায় মতো দ্বিতীয় দফাতেও ইলিশ উঠেছে নামমাত্র। ওয়েস্টবেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সহ-সভাপতি ও দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, “দ্বিতীয় দফায় প্রায় ১৫০০টি ট্রলার ফিরেছে। তবে গড়ে উঠেছে প্রায় ৩০ কেজি করে ইলিশ।’’ তবে তাঁর যুক্তি, দ্বিতীয় দফায় স্বাভাবিক ভাবে ট্রলারগুলো মাছ ধরতে পারেনি। কারণ সমুদ্রে বড় বড় ঢেউ ( রোলিং )। সেখানে মাছ ধরার জাল ঠিকমতো ফেলাই যায়নি। তাই অনেক ট্রলার ফিরে এসেছে।
ফিরে আসা এক ট্রলারের মৎস্যজীবী রতন ওঝা বলেন, ‘‘মাছ ধরা তো দূর, বিশাল বিশাল ঢেউতে ট্রলারের নিরাপত্তা নিয়েই চিন্তা ছিল। তাই তাড়াতাড়ি ফিরে আসা।’’
জোগান কম থাকায় মরসুমে ইলিশের দামও চড়া। মঙ্গলবার দিঘায় ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কিলোগ্রাম দরে। এক কিলোগ্রাম বা তার বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা দরে।