রোল নম্বর সাঁটানো চলছে মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠে (বালক)। নিজস্ব চিত্র
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রকে ‘স্পর্শকাতর’ বলে চিহ্ণিত করা হয়েছে। থাকছে মোবাইলে কড়াকড়িও। কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল মিললে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের মেদিনীপুর আঞ্চলিক কেন্দ্রের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এ বারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার সব রকম প্রস্তুতি সারা হয়েছে। মোবাইলের বিষয়ে আরও কড়াকড়ি থাকছে। কয়েকটি পরীক্ষাকেন্দ্রকে স্পর্শকাতর কেন্দ্র বলে চিহ্ণিত করা হয়েছে। সেগুলিতে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে।’’ আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এক সূত্রে খবর, ‘স্পর্শকাতর’ পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে নজরদারি চালাতে পারে পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা।
অনেক সময়ে পুলিশ, প্রশাসন, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ নানা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। সবদিক দেখেই এ বার বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা থাকছে উচ্চমাধ্যমিকে। ভেনু সুপারভাইজার অর্থাৎ প্রধান শিক্ষক বা সেন্টার ইনচার্জ ও সেন্টার সেক্রেটারি বাদে কারও কাছে মোবাইল থাকবে না। পশ্চিম মেদিনীপুরে এ বার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গতবারের তুলনায় খানিক কমেছে। গতবার ছিল ৪১,৫৯২ জন। এ বার ৪০,২২০ জন। তবে ঝাড়গ্রাম জেলায় সামগ্রিক ভাবে বেড়েছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।
দুই জেলার সব কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় এবং জাতীয় ও রাজ্য সড়কে পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন থাকবে। সব কেন্দ্রে প্যারামেডিক্যাল টিমও থাকবে। প্রতিটি হাসপাতালে পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটি ব্লকে থাকবে অ্যাম্বুল্যান্স। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের মেদিনীপুর আঞ্চলিক কেন্দ্রের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ঘরের মধ্যে স্মার্টফোন নিয়ে কোনও শিক্ষক ধরা পড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের উপ-সচিব উৎপল বিশ্বাস বলেন, ‘‘সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করি, পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হবে না।’’ পরীক্ষার দিনগুলিতে যানজট এড়াতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে ট্রাফিকের বাড়তি নজরদারি থাকবে।