haldia port

সাগরেই জাহাজের পণ্য খালাস, উচ্ছ্বাস বন্দরে

বঙ্গোপসাগরে  নোঙর করা দুটি কেপ সাইজের জাহাজের একটি এম ভি স্কারলেট। লাইবেরিয়ার এই জাহাজটি  আমেরিকা থেকে কোক কয়লা এনেছে স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার জন্য। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৩ ০৮:০৬
Share:

হলদিয়া থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে সাগরে নোঙর করেছে দুটি কেপ সাইজের জাহাজ। একই সাথে এই ধরনের দুটি জাহাজ এই প্রথম এল হলদিয়া বন্দরে পণ্য নিয়ে। ছবি: আরিফ ইকবাল খান।

একই সাথে দুটি বি‌শালাকৃতি জাহাজ হলদিয়া বন্দরের জন্য কার্গো নিয়ে এসেছে। প্রায় ৩০০ মিটার লম্বা ও ৪০ মিটার চওড়া এই জাহাজ দু’টি নোঙর করেছে বঙ্গোপসাগরে। বন্দরে প্রবেশ না করলেও ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে ওই দুই জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের কাজ চলছে। যা হলদিয়া বন্দরের ইতিহাসে প্রথম।

Advertisement

বঙ্গোপসাগরে নোঙর করা দুটি কেপ সাইজের জাহাজের একটি এম ভি স্কারলেট। লাইবেরিয়ার এই জাহাজটি আমেরিকা থেকে কোক কয়লা এনেছে স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার জন্য। জাহাজটি এতটাই বিশাল যে হলদিয়া বন্দরে নোঙর করা সম্ভব ছিল না। ফলে বন্দর থেকে ২৮ নটিকাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরের কাছে সাগরে সেটি নোঙর করানো হয়। সেখানেই ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে ছোট ভেসেলে পণ্য বন্দরে আনা হচ্ছে। বুধবার ওই কাজের তদারকি করতে বন্দর আধিকারিকরা এই জাহাজে যান। এম ভি স্কারলেট প্রায় ৫০হাজার মেট্রিক টন কয়লা এনেছে। ওই জাহাজটি ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া থেকে আর একটি জাহাজ এম ভি গোল্ডেন স্টিম কয়লা এনেছে। আদানিদের জন্য আনা ওই কয়লার পরিমাণ ৪৭ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন।

এমন দুটি বিশাল জাহাজ আসায় খুশি বন্দরের কর্তারা। হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) প্রবীন দাস বলেন, ‘‘সাগরে নাব্যতা ১৫ মিটারের বেশি। এ রকম জায়গায় কেপ সাইজের জাহাজ আসতে বাধা নেই। আমরা ভবিষ্যতে আরও ভাসমান ক্রেন ব্যবহার করব। তাতে বন্দরে পণ্য পরিবহণ বাড়বে।’

Advertisement

প্রসঙ্গত, এর আগে কেপ সাইজের মতো বড় জাহাজ হলদিয়া বন্দির থেকে ১৫o কিলোমিটার দূরে স্যান্ডহেডে আসত। সেখানে জলের গভীরতা ৫০ মিটার। কিন্তু স্যান্ডহেডে জলের রোলিং তীব্র থাকায় সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে পণ্য খালাসে সাগর হতে পারে ‘গেম চেঞ্জার’। এমনই মনে করছেন বন্দর কর্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement