হলদিয়ায় ‘সাউথ এশিয়ান ধান সিঁড়ি’র বিশ্বকর্মা পুজোর মণ্ডপ। নিজস্ব চিত্র
জাঁক ফিরেছিল গণেশ পুজোর সময়ই। এবার বিশ্বকর্মা পুজোয় লকডাউনের রেশ কাটিয়ে ফের পুরনো ছন্দে ফিরল শিল্পশহর হলদিয়া। দেব কারিগরের পুজো ঘিরে জাঁকজমক শুরু শুক্রবার থেকেই।
গত দু’বছর লকডাউন জেরে শিল্প সংস্থাগুলিতে আর্থিক মন্দা চলছিল। বহু শ্রমিক কর্মসংস্থান হারিয়েছিলেন। গত বছরে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে কার্যত নমো নমো করে পুজো সারতে হয়েছিল উদ্যোক্তাদের। কিন্তু এ বছর করোনা এবং দুর্যোগের জোড়া ফলা আর নেই। তাই আগের মতোই ধুমধাম করে পূজিত হতে চলেছেন বিশ্বকর্মা। হলদিয়ায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ২৫০টি বিশ্বকর্মা পুজো হয়। বেশ কয়েকটি পুজোয় বাজেট বেশ মোটা অঙ্কের। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে সে সব পুজোর উদ্বোধন। তবে শুক্রবার রাতে অধিকাংশ মণ্ডপের উদ্বোধন হবে।
দুর্গাচকের তালপুকুরে ‘ট্যাঙ্কার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র পুজোয় এ বছর বাজেট প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা। শিল্পশহরের অন্যতম জনপ্রিয় পুজো। মণ্ডপে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে কৈলাসের একাংশ. হলদিয়া রিফাইনারির ‘কন্ট্রাক্টর্স সাপ্লায়ার সুপারভাইজার স্টাফস অ্যান্ড ওয়ার্ক ম্যান অ্যাসোসিয়েশনে’র পুজো এ বছর ৩০ বছরে পা দিল। এ বছর এই পূজার বাজেট প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা। হলদিয়া পেট্রো কেমিক্যালসের পুজো ২৬ বছরে পড়েছে। এ বছরের চমক ঝিনুকের প্রতিমা। বাজেট প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সৌমেন নায়েক বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে কিছুই করা সম্ভব হয়নি। আগের বছর দুর্যোগ ছিল। এ বছর তাই যতটা সম্ভব দর্শকদের কাছে পুজোকে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। নানা রকম সামাজিক কাজকর্ম তো রয়েছেই।’’