প্রতীকী ছবি।
নদীপথে পণ্য পরিবহণের জন্য বারাণসী-হলদিয়া ‘‘জল মার্গ বিকাশ প্রকল্প’-এ হলদিয়ায় হলদি নদীর সংযোগস্থলে যে জেড টার্মিনাল তৈরি হচ্ছিল, তা ২০১৯-‘২০ অর্থ বর্ষের মধ্যে শেষ করতে হবে। পাশাপাশি সাহেবগঞ্জ এলাকায় আরও একটি এ ধরনের বহুমুখী টার্মিনাল গড়ে তোলা হবে বলে শুক্রবার কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৯-’২০ সালের মধ্যে ওই কাজ শেষ করার কথাও বলা হয়েছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে অভ্যন্তরীণ জলপথ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বর মাসে হলদিয়া থেকে বারাণসী পর্যন্ত নৌ পথে পণ্য পরিবহণ শুরু হয়। বারাণসীতে ‘জল মার্গ বিকাশ প্রকল্প’-র অন্তর্ভুক্ত এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হলদিয়াতেও আনুষ্ঠানিকভাবে পণ্য পরিবহণের সূচনা হয়। যদিও তার আগেই, হলদিয়ায় পাতিখালি এলাকায় হলদি নদীর উপর ভাসমান টার্মিনাল তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল বলে স্থানীয়দের দাবি। ওই টার্মিনাল আভ্যন্তরীণ জলপথ দফতরই তৈরি করছিল।
সাহেবগঞ্জে বহুমুখী টার্মিনাল তৈরির পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কায় নেভিগেশন লকগেট তৈরি হচ্ছে বলেও অভ্যন্তরীণ জলপথ দফতর (আই ডব্লিউ এ) সূত্রে জানা গিয়েছে। গত নভেম্বর থেকে গঙ্গানদীপথে বারাণসী থেকে হলদিয়া পর্যন্ত পণ্য পরিবহণ শুরু হলেও, টার্মিনাল নির্মাণের গতি অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে বলে অভিযোগ। এই ঘোষণার পর কাজে গতি আসবে বলে ধারণা দফতরের।
আই ডব্লিউ এ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, রেল ও সড়ক পথে পণ্য পরিবহণে নানা অসুবিধা থাকে। তুলনায় জলপথ অনেকটাই নিরাপদ। তাই বারাণসী থেকে হলদিয়া পর্যন্ত গঙ্গা নদী পথে কার্গো হ্যান্ডলিং-এর প্রকল্প হাতে নেয় কেন্দ্র সরকার। এর ফলে হলদিয়ায় বন্দরের পাশাপাশি এটিও দ্বিতীয় বন্দর হিসেবে পণ্য ওঠানো-নামানোর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আই ডব্লিউ এ এবং হলদিয়া বন্দর প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্দরে লকগেট থাকার কারণে যতটা পণ্য ওঠানো-নামানো হয়, তার তুলনায় এ ধরনের জেটিতে আরও বেশি পণ্য ওঠানো-নামানো সম্ভব হবে।
ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদীপ কুমার বিজলির দাবি, হলদিয়ায় নদীপথে টার্মিনাল তৈরি শেষ হলে পণ্য পরিবহণ আরও বেড়ে যাবে। এতে জেলার অর্থনীতি অনেকটাই সমৃদ্ধ হবে। তবে, বাজেট ঘোষণার পরেও প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে খানিকটা সংশয়ে শাসক দল। স্থানীয় সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার হলদিয়ায় টার্মিনালের কাজ এ বছর শেষ করলে তা অত্যন্ত খুশির খবর। কিন্তু তা হবে কি না আমাদের সন্দেহ রয়েছে।’’
আই ডব্লিউ এ-র এক আধিকারিক জে জে বিশ্বাস জানান, বাজেটে এ বছরই প্রকল্প সম্পূর্ণ করার কথা বলা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখন বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।