lockdown

আর্জি লকডাউন প্রত্যাহার ও স্পেশাল ট্রেনের

পরীক্ষার আগের দিন এ রাজ্যে লকডাউন ঘোষিত হওয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো নিয়ে চিন্তায় পরীক্ষার্থীরা। লকডাউন প্রত্যাহার ও পরীক্ষার আগের দিন থেকে স্পেশাল ট্রেন চালানোর দাবিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রেলবোর্ডকে চিঠি পাঠালেন অভিভাবকদের একাংশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:১১
Share:

ফাইল চিত্র।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মেডিক্যালে ভর্তির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘নিট’। পরীক্ষার আগের দিন এ রাজ্যে লকডাউন ঘোষিত হওয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো নিয়ে চিন্তায় পরীক্ষার্থীরা। লকডাউন প্রত্যাহার ও পরীক্ষার আগের দিন থেকে স্পেশাল ট্রেন চালানোর দাবিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রেলবোর্ডকে চিঠি পাঠালেন অভিভাবকদের একাংশ।
করোনা অতিমারির কারণে ৩ মে নিট পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করে দেয় ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)। এরপর ২৬ জুলাই পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও ফের তা স্থগিত করে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত ১৩ সেপ্টেম্বর নিট পরীক্ষার দিন ধার্য করে এনটিএ। সুপ্রিম কোর্টও ওই দিন পরীক্ষার নির্দেশ দেয়।
ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমণের কারণে রাজ্যে ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। ফলে পরীক্ষা কেন্দ্রে নির্দিষ্ট
সময়ের মধ্যে পৌঁছনো নিয়ে
সংশয়ে অভিভাবক থেকে পরীক্ষার্থীদের একাংশ।
সাধারণত দূরবর্তী পরীক্ষাকেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা আগের দিন পরীক্ষাকেন্দ্রের এলাকায় গিয়ে ঘর ভাড়া করে থাকেন। যাতে পরীক্ষার দিন নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো যায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ১২ তারিখ লকডাউন থাকায় আগের দিন পরীক্ষাকেন্দ্রের কাছাকাছি পৌঁছনো এবার সম্ভব নয়। তার উপর বন্ধ রয়েছে ট্রেন। বন্ধ সমস্ত হোটেলও।
সরকারি হিসেব বলছে এ বার দেশের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৬ লক্ষ। এ রাজ্যে সংখ্যাটা প্রায় ৭৭ হাজার। চলতি মাসের ১ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত চলেছে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘জেইই মেইন’। গোটা দেশে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৯ লক্ষ। এনটিএ-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ‘জেইই মেইন’-এর প্রথম তিনদিনের পরীক্ষায় প্রায় ২৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি।
১৩ তারিখ নিট পরীক্ষা শুরু হবে দুপুর ২ টো থেকে। চলবে ৫ টা পর্যন্ত। দুপুর ১২ টায় পরীক্ষার্থীদের পৌঁছে যেতে হবে পরীক্ষাকেন্দ্রে। পূর্ব মেদিনীপুরে কোনও পরীক্ষাকেন্দ্র নেই। এই জেলার পরীক্ষার্থীদের কাছের পরীক্ষা কেন্দ্র বলতে হাওড়া ও খড়্গপুর। নিট পরীক্ষার দিন স্পেশাল ট্রেন চালানোর ব্য়াপারে রেলবোর্ড এখনও কোনও নির্দেশ দেয়নি বলে খবর। করোনা কালে রাস্তায় বাসের সংখ্যাও কম। ফলে গাড়ি ভাড়া করে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছনো ছাড়া উপায় নেই। বহু গরিব পরীক্ষার্থী সে ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বেন। এই পরিস্থিতিতে ১২ তারিখ লকডাউন প্রত্যাহার করা ও পরীক্ষার আগের দিন
থেকে স্পেশ্যাল ট্রেন চালানোর দাবিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রেলবোর্ডের কাছে আবেদন জানালেন পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের একাংশ।
কোলাঘাটের এক নিট পরীক্ষার্থী সঙ্কেত নায়ক বলেন, ‘‘আমার পরীক্ষা কেন্দ্র হাওড়ার লিলুয়ায়। আগের দিন পরীক্ষাকেন্দ্রের কাছাকাছি গিয়ে থাকার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পরীক্ষার আগের দিন লকদডাউন থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। লকডাউন প্রত্যাহার করা ও স্পেশ্যাল ট্রেন চালাৈৈনোর দাবিতে আমার বাবা রাজ্য সরকার ও রেলবোর্ডকে চিঠি দিয়েছেন। নিটের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার কথা ভেবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়েই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে এটাই আমাদের আশা।’’
এই বিষয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর শাখার জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরী বলেন, ‘‘রেলবোর্ড থেকে এ ব্যাপারে এখনও কোনও নির্দেশ আসেনি। নির্দেশ পেলে স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement