Vidyasagar university

কালু নেই, শোকস্তব্ধ ক্যাম্পাস

কালু আসলে রোডেশিয়ান। থাকত বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। অনেকগুলো কুকুর থাকে ক্যাম্পাসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৫৯
Share:

বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই সমাহিত করা হয়েছে কালুকে। নিজস্ব চিত্র

কালু নেই। ক্যাম্পাস তাই ফাঁকা ফাঁকা।

Advertisement

কালু আসলে রোডেশিয়ান। থাকত বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। অনেকগুলো কুকুর থাকে ক্যাম্পাসে। কালুই ছিল সবচেয়ে বয়স্ক। দিন কয়েক ধরেই অসুস্থ ছিল কালু। তার চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাকে সুস্থ করা গেল না। সোমবার সকালে কালুর মৃত্যু হয়। পরে ক্যাম্পাসের এক ফাঁকা জায়গায় তাকে কবর দেওয়া হয়েছে। কবরের উপরে ছড়ানো হয় ফুল। জ্বালানো হয় ধূপ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কালুর চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। ও চিকিৎসায় সাড়া দেয়নি।’’ উপাচার্য মানছেন, ‘‘ও হঠাৎ করে চলে যাওয়ায় ক্যাম্পাসে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। অনেকেই ওকে ভালবাসতেন। অনেকেরই মন খারাপ।’’ উপাচার্য পশুপ্রেমী হিসেবে পরিচিত। তাঁর উদ্যোগেই ক্যাম্পাসে থাকা কুকুরদের যত্ন নেওয়া শুরু হয়েছে।

কালু বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকের কাছেই প্রিয় ছিল। সচরাচর কাউকে বিরক্ত করত না সে। পরিচিতদের দেখতে পেলে ছুটে যেত। উপাচার্যের গাড়ি দেখলেও ছুটে যেত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাঘরের সামনেও বসে থাকতে দেখা যেত তাকে। বিশেষ করে যখন সেমিনার চলত। বিরক্ত করত না বলে কেউ তাকে তাড়াতো না। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘অনেক সময়ে দেখবেন নিকটাত্মীয় চলে গেলেও তেমন কষ্ট হয় না যতটা পোষ্যে চলে গেলে হয়। ক্যাম্পাসে থাকা কুকুরগুলোকে আমরা পোষ্য হিসেবেই দেখি। কালুই সবচেয়ে প্রিয় ছিল। ওর আচার আচরণও খুব সাধারণ ছিল।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সূত্র জানাচ্ছে, কালু দূরশিক্ষা বিভাগের ভবনের কাছে থাকত। রাতে নজর রাখত সবদিকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement