উদ্যান: সাজানো হবে এই বাগানই। নিজস্ব চিত্র
মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর হল চত্বরে উদ্যান সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হল। পুরসভার উদ্যোগে এই কাজ শুরু হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, উদ্যানের সামনের দিকে নতুন প্রবেশ পথ তৈরি হবে। চারপাশে নতুন করে রেলিংও লাগানো হবে। চারধারে নানা রকমের গাছ লাগানো হবে। উদ্যানের মধ্যে থাকবে ঝর্না, বাহারি আলো। নতুন করে বসার জায়গার ব্যবস্থাও হবে। মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, “উদ্যানের সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু হয়েছে। দু’মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির (বিদ্যাসাগর হল) চত্বরের উদ্যানটি দীর্ঘদিন ধরেই ঝোপঝাড়, আগাছায় ঢাকা ছিল। এর আগে কখনও কখনও সংস্কার যে হয়নি তা নয়। তবে দেখভালের অভাবে দিন কয়েক পরে উদ্যানের অবস্থা হয়ে যেত আবার যে কে সেই। পরিস্থিতি দেখে পুরসভায় দরবার করেন বিদ্যাসাগর হল কর্তৃপক্ষ। পুরপ্রধান প্রণব বসুকে চিঠি দেন হলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক রাজকুমার দাস। এই এলাকার সৌন্দর্যায়নে পদক্ষেপ করার আর্জি জানান। সেই আবেদনে সাড়া দেয় পুরসভা।
পুরসভার এক বৈঠকে ঠিক হয়, বিদ্যাসাগর হল চত্বরে থাকা উদ্যান নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে। মেদিনীপুরের উপ-পুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথ দাস বলেন, “বিদ্যাসাগর হলের ওই এলাকার সৌন্দর্যায়নের কাজ পুরসভার উদ্যোগে শুরু হয়েছে। হল-কর্তৃপক্ষই চিঠি দিয়েছিলেন। ওঁরা চেয়েছিলেন, পুরসভা এলাকাটা সাজিয়ে দিক। সেই মতো পুরসভা ওই এলাকা সাজিয়ে দেবে।”
প্রাথমিক ভাবে পুর-কর্তৃপক্ষের ধারণা, এই কাজে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয় হতে পারে। পুর-উদ্যোগে সৌন্দর্যায়নের কাজ মেদিনীপুরে নতুন নয়। এর আগে শহরের এলআইসি মোড়ে বিদ্যাসাগর মূর্তির সামনে আলো ও ঝর্নার ব্যবস্থা করে পুরসভা। সার্কিট হাউস মোড়ের সামনেও আলো ও ঝর্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যাসাগর হল চত্বরে এক সময় মুক্তমঞ্চ গড়ার পরিকল্পনা হয়। কাজ শুরুও হয়। পরে অবশ্য মুক্তমঞ্চের কাজ মাঝপথে থমকে যায়।
পুর-কর্তৃপক্ষের দাবি, কাজ শেষ হলে বদলে যাবে এই এলাকা। কারণ, উদ্যানে শুধু বিভিন্ন রকমের গাছই থাকবে না। আলো ও ঝর্নার ব্যবস্থাও থাকবে। থাকবে বসার জায়গাও।