ভর্তির ফর্ম না- পেয়ে বৃহস্পতিবারও হয়রানির শিকার হলেন ছাত্রীরা। এ দিন সকালে ফর্মের জন্য অনেকে ক্যাম্পাসে আসে। কাউন্টারের সামনে লাইনও দেয়। পরে তাঁরা জানতে পারে, ফর্ম শেষ। কর্তৃপক্ষ অবশ্য ‘ফর্ম শেষ’ বলে একটি কাগজে লিখে তা দেওয়ালে সাঁটিয়েও দেন। প্রশ্ন ওঠে, নির্ধারিত দিনের আগে ফর্ম শেষ হয় কী ভাবে। এ নিয়ে নিজেদের অসন্তোষ গোপন করেননি ছাত্রী ও অভিভাবকরা। টিচার ইন চার্জ অদিতি রায় অবশ্য বলেন, “ফর্ম ফুরিয়ে গিয়েছিল। পরে ফর্ম আনানো হয়।”
মেদিনীপুর শহরের বটতলাচকের কাছে রয়েছে ‘মেদিনীপুর গভর্নমেন্ট প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ (গার্লস)। আসন সংখ্যা সবমিলিয়ে ৫০টি। উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বেরোনোর পর এখানে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। গত ১০ জুন থেকে এই টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ভর্তির ফর্ম দেওয়া শুরু হয়। ফর্ম দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১৮ জুন অর্থাত্ বৃহস্পতিবার। সাধারণ ছাত্রীদের জন্য ফর্মের দাম ছিল ৩০০ টাকা। তফশিলি জাতি- উপজাতিদের ছাত্রীদের জন্য ফর্মের দাম ছিল ১৫০ টাকা। নির্ধারিত দিন পর্যন্ত ভর্তির ফর্ম দেওয়া হয়, এটাই নিয়ম। মেদিনীপুরের এই ইনস্টিটিউটে অবশ্য অন্য ঘটনা ঘটে? কেমন? নির্ধারিত দিনের এক দিন আগে, অর্থাত্ বুধবারই ফর্ম শেষ হয়ে যায়। প্রথম পর্যায়ে এখানে ৯০০টি ফর্ম এসেছিল। অভিযোগ, তা শেষ হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে আর ফর্ম আনার ব্যবস্থা করেননি কর্তৃপক্ষ।
বুধবারও ক্যাম্পাসে এসে ভর্তির ফর্ম পাননি অনেকে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেও প্রায় একই পরিস্থিতি দেখা দেয়। ছাত্রীরা ইনস্টিটিউটে এসে জানতে পারেন, ফর্ম শেষ। ভর্তির ফর্ম তুলতে আসা মৌলি পণ্ডা, শিউলি পণ্ডাদের কথায়, “কর্তৃপক্ষ বলছেন, বিকেলের দিকে ফর্ম পাবো। কী হবে বুঝতে পারছি না। যদি না- পাই তাহলে আর কোর্সটা করাই
হবে না।”
এ দিন বিকেলে অবশ্য বাড়তি ফর্ম আসে। তা ছাত্রীদের দেওয়াও হয়।