গাছপ্রেমে লক্ষ্মীলাভে দিশা বর্ণালী

মামা বাড়িতে মামার গাছের পরিচর্যা দেখে বৃক্ষপ্রেম শুরু। পরে সেই বৃক্ষপ্রেম থেকেই খুঁজে পেয়েছেন বাঁচার রসদ। আর শুধু নিজে নন, এখন তাতে আর্থিক ভাবে উপকৃত হচ্ছেন আরও অনেকে।

Advertisement

তমলুক

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৮ ০৭:০০
Share:

মামা বাড়িতে মামার গাছের পরিচর্যা দেখে বৃক্ষপ্রেম শুরু। পরে সেই বৃক্ষপ্রেম থেকেই খুঁজে পেয়েছেন বাঁচার রসদ। আর শুধু নিজে নন, এখন তাতে আর্থিক ভাবে উপকৃত হচ্ছেন আরও অনেকে।

Advertisement

কলেজে স্নাতকের সময়েই তমলুকের বাসিন্দা বর্ণালী জানা নিজের বাড়িতে ভরিয়ে তুলেছিলেন চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়ার সাথে এরিকা পাম, টপিকমনোর মত বাহারি গাছে। ১৯৮৯ সালে বাপের বাড়িতে থেকেই এরিকা পাম এবং ক্রোটেনের মত গাছের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। দু’বছরের মধ্যে নিজের নার্সারি তৈরি করে ব্যবসার প্রসারও ঘটান।

বিয়ের পরে ১৯৯৮ সালে স্বামী-স্ত্রী মিলে পিপুলবেড়িয়া গ্রামে জমি লিজ নিয়ে গড়ে তোলেন ‘এভারগ্রিন নার্সারি’। সেখানে তৈরি ঘর সাজানোর গাছ এবং ফুলের গাছ সরবরাহ করেন বিভিন্ন জেলা-সহ ভিন রাজ্যেও। সেই বছর থেকেই তাঁরা রাজ্য সরকারের ‘স্টেট ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড হর্টিকালচার কর্পোরেশনে’র অর্ডার অনুযায়ী আম, লিচু, নারকেল চারা সরবরাহ শুরুও করেন। বর্ণালীদেবীর নার্সারির দৌলতে আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন পুষ্প মান্না, মমতা পাখিরা, বিশ্বজিৎ পালের মতো ১০টি গরিব পরিবার।

Advertisement

তবে ছন্দপতন ঘটে ২০০৯ সালে। স্বামীর মৃত্যু হয় ক্যানসারে। শাশুড়ি রেণুকাদেবীর উৎসাহে তিনি ব্যবসার হাল ধরেন। ব্যবসার কাজে মোটর সাইকেল চড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় যান। দুই মেয়েকে মানুষ করার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন বর্ণালীদেবীর বার্ষিক ব্যবসার পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি টাকা। পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই বর্ণালীদেবী বলেন, ‘‘স্বামী মারা যাওয়ার পর বেশ অনিশ্চয়তায় পড়েছিলাম। কিন্তু শাশুড়ি সাহস জুগিয়েছিলেন। তাঁর জন্যই আজ এমন জায়গায় পৌঁছেছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement