Srinu Naidu murder case

প্রাক্তন তৃণমূল নেতাকে জেল থেকে হুমকি ফোন

২০১৫সালে পুরভোটের পরে মনোজ গ্রেফতার হন। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের অফিসে জলের ট্যাঙ্কে বিষ মিশিয়ে দেওয়া ও মাদক  পাচারের অভিযোগে পৃথক মামলা রুজু করে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২২ ০৭:৩০
Share:

জেলের মধ্যে

পুলিশ সুপারকে খুনের পরিকল্পনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। জুড়েছিল মাদক পাচারের অভিযোগও। এ বার তৃণমূলের প্রাক্তন সেই নেতা অভিযোগ করলেন, তাঁর কাছে টাকা চেয়ে হুমকি ফোন করছে রেলমাফিয়া শ্রীনু নায়ডু খুনে অভিযুক্ত জেলবন্দি এক দুষ্কৃতী!

Advertisement

মনোজ তাম্বে। একসময় তৃণমূলের যুবার জেলা সভাপতি ছিলেন। হয়েছিলেন যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতিও। তবে কয়েকমাস পরেই সেই পদ থেকে মনোজকে সরিয়ে দেয় দল। এ হেন মনোজ বুধবার রাতে খড়্গপুর টাউন থানায় অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে টাকা চেয়ে হুমকি ফোন করেন রেলমাফিয়া শ্রীনু নায়ডু খুনে অভিযুক্ত জেলবন্দি দুষ্কৃতী শঙ্কর রাও। ফোনে ১০লক্ষ টাকা তোলা চাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি টাকা না পেলে নিজের সহযোগী দুষ্কৃতীদের পাঠিয়ে গুলি করে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে মনোজের অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।” মনোজ আপাতত নিজের পুরনো পেশা জমি কেনাবেচার কাজেই যুক্ত। তবে মনোজের দাবি, দল তাঁকে পদ থেকে বসিয়ে দিলেও তিনি এখনও তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী।

২০১৭সালে রেলমাফিয়া শ্রীনু নায়ডু খুনের মামলায় বাসব রামবাবুর সঙ্গেই অভিযুক্ত শঙ্কর রাও এখন জেলবন্দি। তবে জেলে বসিয়ে শঙ্কর এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এর আগেও বহু ব্যবসায়ীকে হুমকি ফোন করেছে। তবে এ বার সেই তালিকায় নাম জুড়ল মনোজের। ২০১৫সালে পুরভোটের পরে মনোজ গ্রেফতার হন (এর আগেই পদ হারান তিনি)। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের অফিসে জলের ট্যাঙ্কে বিষ মিশিয়ে দেওয়া ও মাদক পাচারের অভিযোগে পৃথক মামলা রুজু করে পুলিশ। পরে অবশ্য মনোজ জামিনে মুক্তি পান। যদিও গত কয়েক বছরে সেভাবে মনোজের নাম-ডাক শোনা যাচ্ছিল না। এ বার তিনি জেলবন্দি দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে হুমকি ফোনের অভিযোগ তোলায় শোরগোল ছড়াল। মনোজ বলেন, “আমাকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফোন করে শঙ্কর রাও ১০লক্ষ টাকা চায়। আমি শঙ্করকে চিনতে পারিনি। তখন নিজের পরিচয় দেয়। তার পরে ওই টাকা না দিলে আমাকে গুলি করে খুন করবে বলেছে। আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আমার জীবন, অর্থ শেষ করে দিয়েছেন প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। সামান্য জমি কারবার করি। আমার কাছে এত টাকা নেই। কিন্তু আগে আমার যে আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিল তা দেখে জেনে মনে হয় এই হুমকি ফোন করেছে শঙ্কর। আমি আইনে আস্থা রেখে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement