—ফাইল চিত্র
‘দিদি’ আসছেন নন্দীগ্রামে। তার প্রস্তুতি বৈঠকে হাজির ‘দাদা’র অনুগামীরাও।
আগামী ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের তেখালি সেতু সংলগ্ন গোকুলনগর গ্রামের মাঠে জনসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় প্রায় আড়াই লক্ষ জনসমাগমের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তৃণমূল। সভার প্রস্তুতি নিয়ে শনিবার নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। নন্দীগ্রাম ব্লক তৃণমূল অফিসে ডাকা ওই বৈঠকে সদ্য অপসারিত ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেঘনাদ পাল বাদে কমিটির সব সদস্যদের ডাকা হয়েছিল। সেখানে সকালে হাজির হয়েছিলেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত ব্লক তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আবু তাহের, জেলা পরিষদ সদস্য প্রণব মহাপাত্রেরা। অন্যদের মধ্যে ছিলেন শুভেন্দু বিরোধী শিবিরের নেতা তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান এবং তাঁর অনুগামীরা। অবশ্য শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ ব্লক নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য-প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ স্বদেশ দাস অধিকারী এদিন বৈঠকে হাজির ছিলেন না ।
বৈঠকে ৭ জানুয়ারি ভোরে ভাঙাবেড়ায় শহিদ স্মরণে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর উপস্থিতিতে কর্মসূচি পালন এবং মমতার সভার বিষয়ে আলোচনা হয়ে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, নন্দীগ্রাম-১ ব্লক থেকে যত বেশি সম্ভব দলীয় সমর্থকদের নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে। এ জন্য ব্লকের প্রতিটি বুথেই দলীয় সভা করা এবং বাড়ি বাড়ি প্রচার চালানো হবে। সমর্থকদের সভায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাস, ট্রেকার-সহ বিভিন্ন যাত্রীবাহী গাড়ির ব্যবস্থা দ্রুত করতে হবে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, প্রস্তুতি বৈঠক ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলে প্রাথমিক কাজকর্ম শুরু হয়েছে। অস্থায়ী রাস্তা বানানো হচ্ছে। মাঠটি মেশিনের মাধ্যমে সমতল করা হচ্ছে। নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্বদেশ দাস বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার প্রস্তুতি বৈঠকে ব্লক কমিটির প্রায় সব সদস্যই উপস্থিত ছিলেন। জনসভার সমর্থনে ব্লকের প্রতিটি বুথেই বৈঠকের পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি প্রচার চালানো হবে।’’ সুফিয়ানের কথায়, ‘‘নন্দীগ্রাম-১ ব্লক ছাড়াও নন্দীগ্রাম-২, খেজুরি-১, ২, চণ্ডীপুর ব্লক থেকে প্রচুর সংখ্যক দলীয় সমর্থকদের সভায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। আরও বিশদে আলোচনার জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধেও একটি প্রস্তুতি সভা হবে।’’