প্রতীকী ছবি।
লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় ফের পুরনো ছন্দে ফুলবাজারগুলি। উৎসবের মরসুমে ফুলের চাহিদাও তুঙ্গে। ফলে মুখে হাসি ফুলচাষিদের।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশ জুড়ে শুরু হয় লকডাউন। লকডাউন চলাকালীন দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ফুল বাজারগুলি। বিক্রি না হওয়ায় বাগানেই নষ্ট হচ্ছিল ফুল। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন ফুলচাষিরা। গাঁদা, দোপাটির মতো স্বল্পমেয়াদি ফুলের চাষ থেকে সরে আসেন অনেক চাষিই। আনলক প্রক্রিয়া চালু হওয়ার পর ফের নতুন করে শুরু হয় ফুল চাষ। এ বার দুর্গোপুজোয় ফুলের দাম ছিল আকাশ ছোঁয়া।লক্ষ্মীপুজোতেও চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। কালীপুজোতেও ভালই চাহিদা রয়েছে ফুলের। সেই সঙ্গে লোকাল ট্রেন চালু হয়ে যাওয়ায় ফের চাঙ্গা ফুলবাজার।
বুধবার থেকে লোকাল ট্রেন চালুর পর ফুলবাজারগুলিতে ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ীর সংখ্যা এক লাফে বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। শুক্রবার কোলাঘাট ও দেউলিয়া ফুলবাজারে আগের মতোই ভিড় দেখা গিয়েছে। বাসে ও ট্রেনে ভিন্ রাজ্যে ফুল পাঠানো শুরু হওয়ায় উৎসবের মরসুমে চাহিদাও বেড়েছে। কালীপুজোর আগের দিন বাজারে জবা ফুলের চাহিদা এতটাই ছিল যে বাজার খোলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায় জবা। ফুলের দাম ঊর্ধ্বমুখী দেখে খুশি ফুলচাষিরা। সমীর মাইতি নামে পাঁশকুড়ার এক গাঁদা চাষি বলেন, ‘‘কালীপুজোর আগে ফুলের দাম বেশ ভাল পাচ্ছি। লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় ফুলের চাহিদাও অনেক বেড়েছে। নতুন করে চাষে উৎসাহ পাচ্ছি।’’ কোলাঘাট ফুলবাজার পরিচালন সমিতির সম্পাদক দিলীপ প্রামাণিক বলেন, ‘‘দুর্গাপুজো থেকেই ফুলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কালীপুজোর বাজারও বেশ জমে উঠেছে। লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় ফুলবাজারে ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ীর আনাগোনাও আগের চেয়ে বেড়েছে।’’