মেদিনীপুর হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নির্যাতিতা কিশোরীকে। নিজস্ব চিত্র।
প্রেমিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল প্রেমিক ও তার চার বন্ধুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের আদিবাসী পরিবারের ওই কিশোরী। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রেমিক-সহ ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
ধৃতদের মঙ্গলবার দাঁতন আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠান। অন্যদিকে, কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। দাঁতন থানা সূত্রের খবর, নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে আদালতে।
অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিকাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন এবং ধর্ষণ করে প্রেমিক এবং তার ৪ বন্ধু। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানা অন্তর্গত রসলপুর এলাকার ওই কিশোরীকে অভিযুক্ত প্রেমিক ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। রাজনগর এলাকায় ওই প্রেমিক যুবক সহ আরও ৪ জন তাকে ধর্ষণ করে।
এরপর সোমবার ওই কিশোরীকে দু’জন অভিযুক্ত তার বাড়িতে ছাড়তে যায়। নির্যাতিত তার বাড়িতে লোকেদের সব জানালে ওই দু’জন যুবককে আটকে রাখে এলাকাবাসী-সহ যুবতীর পরিবারের লোকেরা। খবর দেওয়া হয় দাঁতন থানায়। দুই যুবককে গ্রেফতার করে দাঁতন থানার পুলিশ। এরপর পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে মূল অভিযুক্ত প্রেমিক-সহ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়গপুর) রানা মুখোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের অনুমতিতে তাদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে। কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।’’ পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তেরা অপরাধ কবুল করেছে।