নাড়া পোড়ানোর আগুনে পানিপারুলে পুড়ে গেল মাঠে থাকা আমনের ধান ও পান বরোজ। নিজস্ব চিত্র।
মাঠে নাড়া পোড়ানোর আগুন হাওয়ায় ছড়িয়ে ভস্মীভূত হল একাধিক পানের বরোজ ও কেটে রাখা ধান। দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
চম্পা নদীর খালে পশ্চিম পাশে চিরুলিয়া মৌজায় এই ঘটনার পাশাপাশি এ দিন চাটলা এলাকায় খড়ি গাছের জঙ্গলে আগুন লেগে যায়। সেখানেও দমকলের ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়।
এগরার চম্পা নদীর খালে পশ্চিম পাশে চিরুলিয়া মৌজায় এলাকায় আমন ধান কাটা হয়েছে। মাঠে পড়ে থাকা সেই ধানের নাড়ায় বেআইনি ভাবে কৃষকেরা রবিবার দুপুরে আগুন ধরিয়ে দেয়। অথচ, নাড়া পোড়ানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই আগুন কোনওভাবে শীতের উত্তুরে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত প্রায় একশো বিঘা জমিতে। আগুন লাগে পানিপারুল মৌজায় মাঠে ডাঁই করে রাখা সদ্য কাটা আমন ধানে। চাষিরা ধানের আঁটি পলিথিন দিয়েঢেকে রেখেছিলেন। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় পাঁচ থেকে ছয় জন চাষির ধান। সুধীর মণ্ডল ও ধনঞ্জয় মণ্ডলের মতো কয়েক জন পান চাষির পানের বরোজ সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। চাষিরা পাম্প চালিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই কয়েক টন ধান ও পান পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়।
এই ঘটনার কিছু পরেই চাটলা এলাকায় খড়ি গাছের জঙ্গলে আগুন লেগে যায়। পানিপারুল থেকে সেই দমকলের ইঞ্জিন গিয়েআগুন নিয়ন্ত্রণ করে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মাঠের ফসল ও পানের বরোজ পরিদর্শন করেন বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান দীনেশ প্রধান । সূত্রের খবর, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পানের বরোজগুলিতে সরকারি বিমা করা নেই। ফলে বিমা থেকে ক্ষতিপূরণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
খেতের নাড়া পোড়ানো নিয়ে কৃষি দফতরের তরফে জেলা জুড়ে প্রচার চালানো হয়। তার পরেও নাড়ায় আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেই চলছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে কয়েক দিন আগে এ ভাবে নাড়ার আগুনে আমন ধানের ক্ষতি হয়েছিল।
এগরা-২ বিডিও অরিজিৎ গোস্বামী বলেন, ‘‘পানিপারুল মাঠে আগুনে পানের বরোজ ও মাঠে ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে কথা বলা হচ্ছে।’’