—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রাজ্যের ছয় বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই তৎপর মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। শুক্রবার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বলে জানালেন জেলা শাসক খুরশিদ আলি কাদরি। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, উপনির্বাচনে মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি থাকবে ওয়েবকাস্টিংও।
১৩ নভেম্বর মেদিনীপুর-সহ রাজ্যের ছয় বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে মেদিনীপুর বিধানসভা উপ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা। চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহেই রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করবে জেলা নির্বাচন দফতর। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা শাসক খুরশিদ বলেন, ‘‘আগামী কাল রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক করা হবে। প্রতি বুথে ওয়েব কাস্টিং ছাড়াও ১০০ শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে।’’
জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর সদর এবং শালবনি এলাকার ৩০৪টি বুথে ভোটগ্রহণ হবে। তার মধ্যে মেদিনীপুর পুরসভা-সহ সদর ব্লকে ২২১টি বুথ এবং বাকি ৮৩টি বুথ শালবনি এলাকায় রয়েছে। এক জন তৃতীয় লিঙ্গ-সহ মোট ভোটার ২,৯১,৬৪৩ জন। তাঁদের মধ্যে মহিলা ১,৪৮,১০০ জন, পুরুষ ১,৪৩,৫৪২ জন। ৮৫ বছরের বেশি বয়সি ভোটার রয়েছেন ২৬০৭ জন। ভিভি প্যাড থাকছে ৫৯৪টি। মহিলা পরিচালিত বুথ হচ্ছে দু’টি, মোট সেক্টর ২৫টি। নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার তথা সদর মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধেরুয়া, আমতলা এবং বেনাশুলিতে নাকা পয়েন্ট করা হচ্ছে। চারটি ফ্লাইং স্লোয়ার্ড টিম তৈরি করা হয়েছে। এবারেও প্রবীণদের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট গ্রহণ করা হবে। ইভিএম পরীক্ষা এবং ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। যে সব এলাকায় গত নির্বাচনে ভোট কম পড়েছে, সেই সব এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে প্রচার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের দফতরের রাস্তা দিয়ে মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দিতে যেতে হবে।’’