প্রতীকী চিত্র
রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সংশোধনী আইন’ বিল। যার জেরে আগামী দিনে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তৈলবীজ ইত্যাদি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ পড়তে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে কৃষক বিক্ষোভ। আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি শুরু করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিরোধী কৃষক সংগঠনগুলিও। পাশাপাশি, বিলের সমর্থনে প্রচার করার কথাও ভাবছে বিজেপি।কয়েকদিন আগেই লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে ‘কৃষি বিল-২০২০’। বিলের বিরোধিতায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রাজ্যসভা। সাসপেন্ড করা হয় বিরোধী দলের আটজন সাংসদকে। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের পাশে থাকার বার্তা দিতে সমস্ত বিরোধী দলের সাংসদরা রাজ্যসভা বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়। কার্যত বিরোধী শূন্য রাজ্যসভায় মঙ্গলবার পাশ হয়ে গিয়েছে সাতটি বিল। তার মধ্যে রয়েছে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সংশোধনী আইন’ সংক্রান্ত বিল। এই বিলের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে বিরোধী কৃষক সংগঠনগুলি।
বুধবার কৃষি বিল ও ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সংশোধনী আইন’ সংক্রান্ত বিলের প্রতিবাদে কোলাঘাট ব্লকের উত্তর জিয়াদা হাইস্কুলে ‘অল ইন্ডিয়া কিসান ও খেত মজদুর সংগঠনে’র কোলাঘাট-২ শাখার পক্ষ থেকে একটি সভার আহ্বান করা হয়। সেখানে আগামী ২৫ তারিখ ভারত গ্রামীণ বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। নয়া বিল নিয়ে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতিত শুরু করেছে কৃষক সংগ্রাম পরিষদও। সংগঠনের সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়েক বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের জনস্বার্থ বিরোধী কৃষি বিল ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সংশোধনী আইন সংক্রান্ত বিলের প্রতিবাদে আমরা জেলা জুড়ে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি শুরু করেছি। আমরা আগামী ২৫ তারিখ ভারত গ্রামীণ বন্ধকে সমর্থন করছি।’’
বন্ধের সমর্থনে পথে নামছে সারা ভারত কৃষক সভাও। সংগঠনের অল ইন্ডিয়া কমিটির সদস্য চিত্তরঞ্জন দাসঠাকুর বলেন, ‘‘ছিয়াত্তরের মন্বন্তর চোখে দেখিনি। তবে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের জন্য যে কালা আইন আনতে চলেছে তাতে আমরা আরেকটা মন্বন্তরের সাক্ষী থাকব।’’ পশ্চিম বঙ্গ কিসান খেতমজদুর তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা বিলের প্রতিবাদ করছি। তবে আমদের দল বন্ধের বিরোধী।’’ বিলের বিরোধিতায় এদিন কোলাঘাট-যশাড় রাস্তা খড়িচকে অবরোধ করে বাম কৃষক ও শ্রমিক সংগঠনগুলি।
নয়া বিলের সমর্থনে পথে নামছে বিজেপিও। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার কিসান মোর্চার সভাপতি বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নয়া বিলের ফলে কৃষকরা বৃহত্তর কৃষি জগতের সাথে যুক্ত হতে পারবেন। কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিজ পণ্য বিক্রির ঝামেলা কমে যাবে। এই বিলগুলির সমর্থনে আমরা জেলাজুড়ে প্রচারে নামব।’’