সংরক্ষিত কামরায় উঠে যাত্রীদের মারধরের অভিযোগ

ভাস্কো দ্য গামা-হাওড়া অমরাবতী এক্সপ্রেসের কয়েকজন যাত্রী জানিয়েছেন, শেখ সফিক-সহ দুই যুবক ‘ওয়েটিং টিকিট’ নিয়ে গোয়া থেকে ওই ট্রেনে উঠেছিলেন। রেলের নিয়ম অনুযায়ী, ‘ওয়েটিং টিকিট’ নিয়ে সংরক্ষিত কামরায় ওঠা বৈধ নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৫৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

দূরপাল্লার ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় আসন দখল নিয়ে গোলমালের জের এসে পড়ল খড়্গপুর স্টেশনের ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। সোমবার রাতে কয়েকজন যুবক ওই স্টেশনে এসে দাঁড়িয়ে থাকা অমরাবতী এক্সপ্রেসের (ভাস্কো দ্য গামা-হাওড়া) একটি সংরক্ষিত কামরায় উঠে কয়েকজন যাত্রীকে টেনে নামানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে রেলের যাত্রী সুরক্ষা।

Advertisement

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ওই ট্রেন খড়্গপুর স্টেশনে থামার পরে এস-৯ কামরা থেকে দু’জন যুবক নেমে কয়েকজন যাত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন। ওই দুই যুবকের বাড়ি শহরের পাঁচবেড়িয়া এলাকায়। ইতিমধ্যেই ওই এলাকার জনা কুড়ি যুবক স্টেশনে চলে এসে ওই কামরায় উঠে পড়ে। কয়েকজন যাত্রীদের মারধরের চেষ্টাও করে তাঁরা। গোলমাল শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে রেল পুলিশ ও আরপিএফ। তার পরে রওনা হয় ওই ট্রেন।

শেখ সফিক-সহ পাঁচবেড়িয়া এলাকার কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে জিআরপি ও আরপিএফ। রেল পুলিশের খড়্গপুরের সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, “পরিস্থিতি মোকাবিলা না করলে বড় ঘটনা ঘটে যেত। প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ করছি।” রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের সিনিয়র কমার্শিয়াল ম্যানেজার আদিত্য চৌধুরী বলেন, “প্রতিটি ট্রেনে পর্যাপ্ত আরপিএফ দেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে সব সমস্যা ট্রেনেই সমাধান করা যায় না। অভিযুক্ত দুই যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।”

Advertisement

ভাস্কো দ্য গামা-হাওড়া অমরাবতী এক্সপ্রেসের কয়েকজন যাত্রী জানিয়েছেন, শেখ সফিক-সহ দুই যুবক ‘ওয়েটিং টিকিট’ নিয়ে গোয়া থেকে ওই ট্রেনে উঠেছিলেন। রেলের নিয়ম অনুযায়ী, ‘ওয়েটিং টিকিট’ নিয়ে সংরক্ষিত কামরায় ওঠা বৈধ নয়। কিন্তু ‘ওয়েটিং টিকিট’ থাকলেও ওই দুই যুবক এস-৯ কামরায় এসে বসতে চান। ওই কামরাতেই ছিলেন কলকাতার একটি ধর্মীয় সংগঠনের কয়েকজন সদস্য। তাঁরা এর প্রতিবাদ করেন। তখন ওই দুই যুবক তাঁদের খড়্গপুরে নেমে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এলাকার কয়েকজনকে ফোন করে ট্রেন থামলে স্টেশনে আসতে বলে। এভাবেই ট্রেন পৌঁছয় খড়্গপুরে। ওই যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেনের মধ্যে টানা দু’দিন ধরে গোলমাল চললেও আরপিএফ ও টিকিট পরীক্ষক কেউ আসেননি।

অভিযুক্তদের অন্যতম শেখ সফিকের অবশ্য দাবি, “আমরা দু’জন গোয়া থেকে উঠেছিলাম। আমাদের কাছে ‘ওয়েটিং টিকিট’ ছিল। তাই আমরা শুধু বসতে চেয়েছিলাম। টিকিট পরীক্ষক ও আরপিএফ আপত্তি করেননি। কিন্তু কয়েকজন যাত্রী আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement