ছেলের মৃতদেহ আটকে পুজো! প্রতীকী চিত্র।
ছেলের মৃত্যুর পর তাঁর মৃতদেহ বাড়িতে দিনভর রেখে ঝাড়ফুঁক করছিলেন দম্পতি। খবর পেয়ে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শুক্রবার এই ঘটনা ঘটেছে ঝাড়গ্রামের বামুনমারা এলাকায়। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিষয়টি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম ভাস্কর পাল (৪০)। তিনি থাকতেন বাবা এবং মায়ের সঙ্গে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাস্কর দীর্ঘ দিন ধরে নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তিনি ঘুমেতেন আলাদা ঘরে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ মৃত্যু হয় ভাস্করের। এর পর তাঁর দেহ বাড়িতে রেখেই চলছিল পুজোঅর্চনা। প্রদীপ বেরা নামে ভাস্করের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ ভাস্করের মৃত্যু হয়। কিন্তু ভাস্করের পরিবারের লোকজন তাঁকে ডাক্তার দেখাননি। তাঁরা পুজো করছিলেন। ভাবছিলেন হয়তো ভাস্কর বেঁচে উঠবে। এখনও কিছু মানুষ এমন কুসংস্কারে বিশ্বাস করেন। এর পর স্থানীয় লোকজন খবর দেন পুলিশে। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’’ শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ পুলিশ গিয়ে ভাস্করের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভাস্করের বাবা প্রভাসচন্দ্র পাল। তিনি দাবি করেছেন, ‘‘আমরা ঝাড়ফুঁক করিনি। আমাদের বাড়িতে নিত্য পুজো হয়। ছেলের মৃত্যুর পর পুলিশ গিয়ে ওর দেহ নিয়ে যায়।’’
এ নিয়ে ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কল্যাণ সরকার বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার ওই যুবক মারা যান। পুলিশ গ্রামবাসীদের মাধ্যমে খবর পায়। এর পর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ওই যুবকের মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ বোঝা যাবে। এ নিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে।’’