—প্রতীকী ছবি।
জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে জেনেও চিকিৎসার অনুমতি দিয়েছিলেন প্রসূতিদের পরিবারের লোকেরা! চিকিৎসার আগে পরিবারের লোকেদের দিয়ে বেড টিকিটে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এমনই দাবি করলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী, যা নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
কয়েক দিন আগে মেদিনীপুর মেডিক্যালে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পাঁচ প্রসূতি। তাঁদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও তিন জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অভিযোগ, হাসপাতালে নিম্ন মানের স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল প্রসূতিদের। তার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন প্রসূতিরা। তা নিয়ে বিতর্কের আবহে সোমবার হাসপাতাল সূত্রে খবর মিলল, চিকিৎসার আগে পাঁচ প্রসূতির পরিবারকে দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
হাসপাতালের ওই সূত্রের দাবি, মুচলেকার বক্তব্য ছিল, ‘‘সিজ়ারের পর স্যালাইন বা ইঞ্জেকশনের জন্য রোগী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সেই কারণে রোগীর প্রস্রাব কম হচ্ছে এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে। রোগীর জীবনহানির আশঙ্কাও রয়েছে। সব কিছু জেনেই চিকিৎসার অনুমতি দিলাম।’’ বেড টিকিটে এই বক্তব্যই লিখিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি।
সোমবার সিএমওএইচ বলেন, ‘‘যে হেতু তদন্ত চলছে, তাই আমার মন্তব্য করা ঠিক নয়। তবে আমি যতটুকু দেখেছি, সত্যিই মুচলেকা লেখানো হয়েছিল। এ ভাবে লেখানো যায় কি না, আমাদের জানা নেই। এত বছরে ডাক্তারের জীবনে এ জিনিস দেখিনি। স্বাস্থ্য দফতরের বড় কমিটি তৈরি হয়েছে। তারা দেখছেন পুরো বিষয়টি। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিসেবে খারাপ লাগছে।’’