মেলার মধ্যে মেয়েদের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় অস্ত্র নিয়ে চড়াও হওয়ার অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।
মেলার ভিড়ে মহিলাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা। তার প্রতিবাদ করতেই ধারালো অস্ত্রের কোপ পড়ল এক যুবক এবং তাঁর বোনের গলায়। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার বল্লুক গ্রামে। আহত মহাদেব দোলই এবং তাঁর বোনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, যুবকের গলায় চোট গুরুতর। তবে তিনি বিপন্মুক্ত। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আহত যুবকের স্ত্রী চুমকি দোলইয়ের কথায়, “সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির কাছে মেলায় স্বামী, ননদ-সহ পরিবারের সবার সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলাম। মেলার মধ্যে দুই যুবক অকারণে গায়ে পড়ছিল। এটা দেখতে পেয়ে আমার স্বামী প্রতিবাদ করে। এই নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর পরে ওই দুই যুবক চলেও যায়। আমরাও ঘটনাস্থল ছেড়ে খানিকটা এগিয়ে যাই। কিছু ক্ষণ পরেই পিছন থেকে আমার স্বামীর গলা পেঁচিয়ে ধরে ধারালো অস্ত্রের কোপ বসিয়ে দেয় এক যুবক। ওকে বাঁচাতে যায় ননদ। তখন তার গলাতেও অস্ত্রের কোপ বসিয়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক।’’
মহাদেবের বোন বলেন, “চোখের সামনে অভব্য আচরণ মেনে নিতে পারেনি ভাই। তাই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিল। কিন্তু ওই যুবকরা ফিরে এসে আচমকা পিছন থেকে ভাইয়ের গলায় অস্ত্রের কোপ বসিয়ে দেয়। ভাইকে বাঁচাতে ওই যুবককে ধাক্কা মারতেই সে আমার গলাতেও কোপ বসায়।’’ তরুণীর অভিযোগ, তাঁদের কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি।
তমলুক থানা সূত্রে খবর, অভিযোগ পাওয়ার পর দুষ্কৃতীদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।