মৎস্য সহায়ক সরঞ্জাম বিলি। নিজস্ব চিত্র।
দিঘার সমুদ্রে খাঁচা তৈরি করে মৎস্য চাষ শুরু করতে চলেছে রাজ্যের মৎস্য দফতর। রবিবার কাঁথির মীনভবনে মৎস্য দফতরের এক অনুষ্ঠানে এমন কথাই ঘোষণা করলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। মৎস্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দিঘায় সৈকতের ধারে সমুদ্রের জলে মাছের খাঁচা তৈরি করে সেখানে খাঁচার মধ্যে নোনা জলের মাছ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি দিঘার সমুদ্রে খাঁচার ভেতর মাছচাষ প্রক্রিয়াও শুরু হতে চলেছে।”
মৎস্য দফতরের কাঁথি সামুদ্রিক বিভাগের ব্যবস্থাপনায় রবিবার কাঁথির মীনভবনে জেলার সামুদ্রিক ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের সরকারি সহায়তায় মৎস্য সামগ্রী বিতরণ, মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারকে দুর্ঘটনাজনিত বিমার টাকাও দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে মৎস্যমন্ত্রী ছাড়াও জেলার দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী, জেলা মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ দেবব্রত দাস ছাড়াও জেলা সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিশির অধিকারী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের উদ্যোগে মৎস্য দফতরের মাধ্যমে নানা উন্নয়মূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। মৎস্যজীবীরাও তাতে উপকৃত হচ্ছেন।” সঙ্গে শিশিরবাবুর ক্ষোভ, ‘‘মৎস্যজীবীদের সরকারি তালিকায় এমন কিছু মানুষের নাম রয়েছে যারা আদতে মৎস্যজীবী নয়। এদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে।’’
মাছ শিকারে গিয়ে পায়ে জাল জড়িয়ে ট্রলার থেকে সমুদ্রে পড়ে মৃত মৎস্যজীবী পরিমল বরের বিধবা স্ত্রীর হাতে বিমার ২ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হয়। শতাধিক মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্র ও মৎস্য সহায়ক সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সামুদ্রিক খটি মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকা ও চিরাচরিত প্রথা-পদ্ধতি নিয়ে মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে একটি তথ্যচিত্রেরও উদ্বোধন করা হয়।