প্রতীকী ছবি
অন্য কারণ প্রায় নেই। সম্ভবত মস্তিষ্কের অসুখেই মৃত্যু হয়েছে মেদিনীপুরের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের। ময়নাতদন্তের পরে একাংশ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীদের একাংশ। যদিও পুলিশ সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসেনি। এক তদন্তকারী বলেন, ‘‘আগে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসুক। রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরই মৃত্যুর নিশ্চিত কারণ বলা সম্ভব হবে।’’ শনিবার মেদিনীপুর মেডিক্যালের মর্গে ওই ছাত্রের দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। পরে মেদিনীপুরের শ্মশানে অন্ত্যেষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ঘরের মধ্যেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বছর একুশের দেবদীপ মেট্যাকে। খাটের পাশে মেঝেতে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়েছিলেন তিনি। পরে মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে দেহে কোনও ক্ষতচিহ্ন ছিল না। ওই ছাত্রের বাড়ি মেদিনীপুরের বল্লভপুরের প্রগতিপল্লিতে। দেবদীপ শিবপুরের ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র (আইআইইএসটি) ছাত্র ছিলেন। মেধাবী ছাত্র বলেই তাঁকে চিনতেন পরিচিতেরা।
পরে জানা যায়, দেবদীপের স্নায়ুর সমস্যা ছিল। কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার পরে খানিক সুস্থও হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তদন্তকারীরা জেনেছেন, শুক্রবার রাতে একবার শৌচাগারে যান দেবদীপ। তারপরই ঘরে ফিরে ওই ঘটনা। সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তে ইঙ্গিত মিলেছে যে, ওই ছাত্রের মস্তিষ্কের একটি অংশে আচমকা পুরনো রোগ মাথাচাড়া দিয়েছিল। সম্ভবত ঠিক মতো রক্ত সঞ্চালন হয়নি। একাংশ চিকিৎসক বলছেন, মস্তিষ্কে রক্তের জোগান কমলে হয় ব্রেন স্ট্রোক। কোনও ধমনী আচমকা ছিঁড়ে গেলে মস্তিষ্কে রক্তপাত হয়। এই ‘সেরিব্রাল হেমারেজ’ই ব্রেন স্ট্রোকের অন্যতম কারণ। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ নিয়ে কিছু বলেননি। কলেজের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘নির্দিষ্ট সময়েই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিশের কাছে পৌঁছবে।’’
সহপাঠীর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে রবিবার দেবদীপের বাড়িতে এসেছিলেন কয়েকজন বন্ধু। ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন পরিজনেরা। ওই ছাত্রের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘দেবদীপের স্নায়ুর সমস্যা ছিল। আমাদেরও অনুমান, মস্তিষ্কের কোনও সমস্যা থেকেই আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে।’’