প্রতীকী ছবি
পুুর নির্বাচনের জন্য তফসিলি ও মহিলাদের প্রার্থী পদের জন্য ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছে আগে। এনিয়ে আপত্তি নিয়ে শুনানির পর ওয়ার্ড সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা আজ প্রকাশ করবে নির্বাচন দফতর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক, কাঁথি ও এগরা পুরসভায় নির্বাচনের জন্য ওয়ার্ড সংরক্ষণের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার আগেই শাসক দল তৃণমূল ও বিরোধী বিজেপি, বামফ্রন্ট, কংগ্রেস শিবিরে তৎপরতাও শুরু হয়েছে।
তমলুক পুরসভায় নির্বাচনী প্রচারের জন্য প্রার্থীদের নামের জায়গা খালি রেখে দেওয়াল লিখন শুরু করেছে বিজেপি। পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। পুরসভায় ক্ষমতাসীন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের সংরক্ষণের গেরোয় প্রার্থী পদ পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও দলীয় নির্দেশ মেনে ২০টি ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলররা কর্মীদের নিয়ে দেওয়াল দখল করেছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০১৫ সালে পুরসভা ভোটে তমলুকে নিরঙ্কুশভাবে তৃণমূল ক্ষমতা দখল করলেও গত বছর লোকসভা নির্বাচনে ভোটপ্রাপ্তির নিরিখে পুরসভার ১০টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল। বাকি ১০টিতে এগিয়ে বিজেপি। ফলে এ বার পুরভোটে তৃণমূল ও বিজেপি-র জোরদার লড়াই হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আর তাই তমলুক পুরসভায় ক্ষমতা দখলের জন্য রাজ্যের এবং কেন্দ্রের শাসকদলের তরফে আগাম তৎপরতা শুরু হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগে জেলা নেতৃত্বের তরফে তমলুক শহর তৃণমূল সভাপতি পরিবর্তনের পাশাপাশি দলীয় সংগঠন পরিচালনায় যে ২৭ জনের ‘কোর’ কমিটি গড়া হয়েছে, এ বার পুর নির্বাচনে সেই কোর কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। প্রার্থী নির্বাচন থেকে দলীয় প্রচারের দায়িত্ব সামলানোর জন্য কোর কমিটি প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছে। তবে পুরসভার ওয়ার্ড সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরেই দলের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া জোরদার হবে। তমলুক শহর তৃণমূল সভাপতি বিশ্বনাথ মহাপাত্র বলেন, ‘‘পুরভোটের প্রচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু না হলেও দেওয়াল লিখনের জন্য প্রতি ওয়ার্ডে দেওয়াল দখল করা হয়েছে। তবে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি ও নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বাড়ি বাড়ি প্রচার চালানো হচ্ছে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই প্রচার চলবে। এরপরে পুরভোটের প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া ও প্রচার শুরু হবে।’’
বিজেপির তমলুক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘তমলুক পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রার্থীদের নাম ছাড়াই দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। দলীয়ভাবে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। তবে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রার্থী হওয়ার জন্য দলের শহর সভাপতির কাছে ৩০ টির বেশি আবেদন জমা পড়েছে। নির্বাচন কমিটি গঠনের পরেই প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’