জয়প্রকাশ মজুমদার ও ভারতী ঘোষ। শুক্রবার এগরায়। নিজস্ব চিত্র
পাঁশকুড়ার পুনরাবৃত্তি হতে দিল না এগরা।
নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে শুক্রবার বিজেপির অভিনন্দন তারুণ্যের ভিড়ে ভারতী ঘোষকে স্বাগত জানাল এগরা। লোকসভা ভোটের আগে জেলায় পাঁশকুড়ায় প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতীকে। এ দিন কিন্তু নির্বিঘ্নে ভারতী ঘোষের মিছিল ঘুরল এগরা শহরে। ভারতীর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসার খাত থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি আসেননি।
জাতীয় নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে এদিন এগরা বিধানসভা এলাকায় বিজেপি অভিনন্দন যাত্রার কর্মসূচি নিয়েছিল। ভারতী এবং জয়প্রকাশকে নিয়ে যাত্রা শুরু হয় দিঘা মোড় থেকে। মিছিল যত শহরের দিকে এগিয়েছে ততই ভিড়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা এগরা শহর। ভিড়ের মধ্যে যুবক-যুবতীরাই ছিল বেশি। বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে শ্লোগান তোলেন। ভারতীর গাড়ি যখন ত্রিকোণ পার্ক হয়ে সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিল সেই সময় গোলি মহল্লার মানুষ এক ঝলক তাঁকে দেখার জন্য রাস্তায় ভিড় করেন। মিছিল সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড হয়ে কলেজ মোড় ঘুরে পোস্ট অফিস মোড়ের কাছে পথসভায় শেষ হয়। মিছিলে ছিলেন বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী-সহ এগরা বিধানসভার সব মণ্ডল সভাপতি।
নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার প্রসঙ্গে ভারতী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী দেশের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজভবনে মিটিং করেননি। নিজের সুবিধা পেতে মিটিং করেছেন। কখনও রাজ্যের উন্নয়নের জন্য একটা প্রকল্প চাননি। নীতি আয়োগের বৈঠকেও যাননি। আজকে নিজের সুযোগ-সুবিধা বুঝে নিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মিটিং করেছেন। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বভাব।’’ প্রাক্তন পুলিশ কর্তা আরও জানান, পুরসভার অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হলে তৃণমূল সাফ হয়ে যাবে। রাজ্যে একটাও পুরসভা তৃণমূল পাবে না।