সকাল থেকেই উত্তাল দিঘার সমুদ্র। — নিজস্ব চিত্র।
কালো মেঘে ঢাকা আকাশ, দমকা হওয়ার বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে, সঙ্গে বৃষ্টি। রেমাল আছড়ে পড়ার আগেই তার প্রভাব টের পাচ্ছেন পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। এই আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে উত্তাল হচ্ছে সমুদ্রও। ঢেউয়ের উচ্চতা ক্রমশ বাড়ছে।
ভোট মিটতেই ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসন। সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। মাঝেমাঝে বৃষ্টি হচ্ছে, সেই সঙ্গে দমকা হওয়া। এই পরিস্থিতিতে মানুষকে নিরাপদে রাখতে মাঠে নেমে কাজ করছে প্রশাসন। দিঘা থানা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দিঘার সমুদ্রে পর্যটকদের স্নান করায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। নুলিয়া-সহ পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের কর্মীদের সৈকতে কড়া নজরদারি চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শনিবার এই জেলার লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত দু’দিন ধরেই হোটেল বুকিং নেওয়া বন্ধ। তবে যে সব পর্যটক আগে থেকে বুকিং করে রেখেছেন, তাঁরাই রয়েছেন দিঘায়। দক্ষিণবঙ্গ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে জানানো হয়েছে যে, ঝড়ের আগাম সতর্কতা অনুযায়ী এই সময় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মৎস্যজীবীদের পরিবারগুলিকেও সতর্কতা মেনে সমুদ্রতট ছেড়ে অপেক্ষাকৃত সুরক্ষিত জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।
রেমালের কথা মাথায় রেখে পূর্ব মেদিনীপুরের সর্বত্র ফেরি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গেঁওখালি থেকে নুরপুর, গেঁওখালি থেকে গাদিয়াড়া, কুকড়াহাটি থেকে রায়চক, কুকড়াহাটি থেকে ডায়মন্ড হারবার, হলদিয়া থেকে নন্দীগ্রাম এবং হলদিয়া থেকে মায়াচর ফেরি পরিষেবা রবিবার এবং সোমবার বন্ধ থাকছে। দিঘা উন্নয়ন পর্ষদ দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি-সহ সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার কথা জানানোর জন্য মাইকিং করছে। তবে, এখনও পর্যন্ত বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। রাতে ধীরে ধীরে তা উপকূলের দিকে এগিয়েছে। রবিবার সকালে এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। রবিবার মধ্যরাতে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের সংলগ্ন উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ‘রেমাল’। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সোমবার এবং মঙ্গলবার লাল সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।