ফাইল চিত্র
‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালের পরিচয়পত্র না থাকায় স্কুলে ভর্তিতে সমস্যা হচ্ছিল। সেই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এল শিক্ষা দফতর। তারা জানিয়ে দিল, ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালের পরিচয়পত্র (আইডি নম্বর) না থাকলেও প্রাথমিক ও হাইস্কুলে পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে হবে।
সরকারি প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পড়ুয়াদের বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টাল চালু করা হয়েছে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই। পোর্টালে প্রতি স্কুল পড়ুয়ার নাম, বয়স এবং কোন শ্রেণির ছাত্র, সেই তথ্য থাকাবে। পাশাপাশি, তাঁদের পরিচয় সূচক (আইডি) একটি নম্বর দেওয়া হয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে স্কুলে ছাত্রছাত্রী ভর্তির ক্ষেত্রে ওই পরিচয়পত্র রাখার নির্দেশ ছিল শিক্ষা দফতরের।
এ দিকে, শিশু ও মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র এবং বেসরকারি স্কুল পড়ুয়াদের ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালে এখনও অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ফলে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে পড়াশোনা করে চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে উন্নীত হওয়া পড়ুয়াদের পোর্টালের আইডি নম্বর নেই। ওই নম্বর না থাকায় অন্য সরকারি প্রাথমিক বা হাইস্কুলে ভর্তি নেওয়ার সময়ে সংশয়ে পড়ে অনেক পড়ুয়া। একই সমস্যা হচ্ছে মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের পড়ুয়াদের নবম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সময়। অভিযোগ, পঞ্চম এবং নবম শ্রেণিতে আইডি নম্বর ছাড়া ভর্তি নিতে অস্বীকার করছেন একাংশ সরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ ।
এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনার সৌমিত্র মোহন গত ২১ জানুয়ারি সব জেলার প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শককে একটি চিঠি দিয়েছেন। তাতে তিনি জানিয়েছেন, শিশু শিক্ষা কেন্দ্র, মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে এবং বেসরকারি স্কুল থেকে চতুর্থ-অষ্টম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালের পরিচয় নম্বর (আইডি নম্বর ) না থাকলেও প্রাথমিক ও হাইস্কুল ভর্তি নিতে হবে। কোনও স্কুল ওই পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে অস্বীকার করতে পারবে না।
স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনার জানিয়েছেন, অন্য স্কুল থেকে আসা পড়ুয়াদের ‘স্টুডেন্টস আইডি’ না থাকলেও তাঁদের ভর্তি নেওয়া যাবে এবং ওই সব পড়ুয়াদের ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালে যুক্ত করতে পারবে। এ ব্যাপারে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক এবং ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক) আমিনুল আহসান বলেন, ‘‘জানুয়ারির প্রথমে শিক্ষাবর্ষ শুরুর মুখে এ বিষয়ে কয়েকজন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। সে সময়ই জানিয়েছিলাম, শিশু, মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র বা বেসরকারি স্কুল থেকে আসা পড়ুয়াদের ভর্তিতে কোনও অসুবিধা নেই। ভর্তির পরেও ওই পড়ুয়াদের বাংলার শিক্ষা পোর্টালে যুক্ত করা যাবে।’’
তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষা সেলের জেলা সভাপতি অনুপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সরকারি ওই নির্দেশিকা যাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ মেনে চলেন, আমরা সংগঠনগত ভাবেও তা জানিয়েছি।’’