পরিবর্তন! দুয়ারে রেশন চালু হলে দোকানে লাইনের এই ছবি পাল্টাবে বলে আশা। নিজস্ব চিত্র।
পুরোদমে চলছে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। রাজ্য সরকারের এই কর্মসূচি শেষ হওয়ার আগেই পূর্ব মেদিনীপুরে শুরু হতে চলেছে রাজ্যের আরও একটি কর্মসূচি ‘দুয়ারে রেশন’। তবে আপাতত এই কর্মসূচি হচ্ছে পরীক্ষামূলকভাবে।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে জেলায় ‘দুয়ারে রেশন’ চালু হচ্ছে। সরকারিভাবে বরাদ্দ খাদ্যসামগ্রী বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য ওই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে সে কছা বহুবার তুলে ধরেছেন তিনি। কিন্তু ভোটের ফল বার হওয়ার মাস তিনেক পরেও প্রকল্পটি চালু না হওয়ায় সমালোচনা হচ্ছিল বিরোধী শিবিরে। তবে সম্প্রতি জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, খাদ্য দফতরের প্রস্তুতির পর প্রকল্পটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হচ্ছে চলতি মাসেই। উল্লেখ্য, রাজ্যে ‘দুয়ারে সরকারে’র দ্বিতীয় পর্বের কর্মসূচি শেষ হচ্ছে ১৬ সেপ্টেম্বর।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, আপাতত জেলার মোট রেশন ডিলারের ১৫ শতাংশকে যুক্ত করা হবে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৮৩২ জন রেশন ডিলার রয়েছেন। সেই মতো বিভিন্ন ব্লক থেকে ১২০ থেকে ১২৪ জন ডিলারকে দিয়ে ‘দুয়ারে রেশন’-এর পরীক্ষামুলক কাজ শুরু হচ্ছে। এ নিয়ে ডিলারদের প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ামক সৈকত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে জেলায় পরীক্ষামুলকভাবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প শুরু করা হচ্ছে। আপাতত ১২০ জন ডিলার খাদ্যসামগ্রী বন্টন
শুরু করবেন।’’
জেলা খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে জেলার প্রতিটি ব্লকে চার-পাঁচ জন ডিলারের রেশন বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। এই প্রকল্প রূপায়ণে রাজ্য খাদ্য দফতর থেকে জেলা খাদ্য দফতর, জেলা প্রশাসন, মহকুমা, ব্লক প্রশাসন, রেশন ডিলার, সাধারণ বাসিন্দাদের বিভিন্ন নিয়ম সংক্রান্ত বিস্তারিত গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী বণ্টনের সুবিধার্থে ডিলারের আওতাধীন এলাকার গ্রাহকদের একাধিক ‘ক্লাস্টারে’ ভাগ করা হবে। ওই ক্লাস্টারগুলিতে নির্ধারিত দিনে ডিলার এবং তাঁর কর্মীরা গাড়িতে করে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে যাবেন। এ জন্য মাসিক ক্যালেন্ডার তৈরি করতে হবে ডিলারদের এবং গ্রাহকদের আগাম জানানোর জন্য প্রচার করারও বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা খাদ্য দফতর ইতিমধ্যেই রেশন ডিলার সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ‘ওয়েস্টবেঙ্গল এমআর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র জেলা সম্পাদক মাধব পাঞ্জা বলেন, ‘‘প্রকল্প রূপায়ণে আমরা সহযোগিতা করছি। তবে গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি রেশন বণ্টনের ক্ষেত্রে ডিলারদের বিভিন্ন আর্থিক দাবি এবং নিরাপত্তা বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে খাদ্য দফতরে আর্জি জানানো হয়েছে।’’