ফাইল চিত্র।
পর্যটকদের ঘোরাফেরা বা বসার জায়গা অবরুদ্ধ করে কোনও দোকান করা যাবে না— দিঘায় এমনই নির্দেশিকা দিয়েছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ (ডিএসডিএ)। আর শুক্রবার থেকেই সেই নতুন নির্দেশ কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিএসডিএ কর্তৃপক্ষ। মাইকে করে ওল্ড এবং নিউ দিঘার সৈকতে আপাতত প্রচার চলছে। পাশাপাশি, সৈকতকে দূষণমুক্ত রাখার জন্য প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহারে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পর্ষদ। নির্দেশ ভাঙলে পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
হোলির পর থেকে দিঘায় পর্যটক বেড়েছে। ভিড় বাড়তেই সৈকতে প্রচুর অস্থায়ী দোকান বসেছে। ফুটপাত, পর্যটকদের বসার চেয়ারে বিভিন্ন রকমের খেলনা, খাবারের দোকান ও ডাবের দোকান বসছে। এর ফলে পর্যটকদের সমস্যা হচ্ছে। কলকাতার দমদম থেকে সপরিবারে বেড়াতে এসেছিলেন দিলীপ বিশ্বাস। তিনি বলছেন, ‘‘সৈকতের ধারে বসার উপায় নেই। নানা রকমের দোকান নিয়ে অনেকেই কানের কাছে এসে চিৎকার চেঁচামেচি করেন।’’ পর্যটকদের কথা থেকেই দোকান বসার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সৈকত শহরে প্লাস্টিক বন্ধ করার ব্যাপারে আগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পর্ষদ। কিন্তু প্রশাসনিক অভিযান থিতিয়ে যেতেই ফের পর্যটনকেন্দ্রে প্লাস্টিকের দেদার ব্যবহার শুরু হয়েছে। তাই পুনরায় দিঘার সমস্ত বাজার এবং দোকানগুলিতে অভিযান চালাবেন পর্ষদের আধিকারিকেরা। এ ব্যাপারে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানস কুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘প্লাস্টিক এবং পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা, ডাস্টবিনে ময়লা ফেলার জন্য সকলকে সতর্ক করা হবে। তার পরেও প্লাস্টিক ব্যবহার করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’