ফাইল চিত্র।
সৈকতে শিবির করে পর্যটকদের করা হচ্ছে করোনার র্যা পি়ড টেস্ট। মিলছে হোটেলের ঘরও। কিন্তু প্রশাসনেরর কড়াকড়ির পরে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলি পর্যটকদের তেমন হচ্ছে না। তাই পর্যটক টানতে বিশেষ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করছে ওই এলাকার হোটেল মালিকদের সংঠন।
এক দিন পরে শুরু হচ্ছে অগস্ট। স্বাধীনতা দিবস, রাখি পূর্ণিমা— একের পর এক ছুটি রয়েছে এই মাসে। ওই ছুটি উপলক্ষে দিঘায় পর্যটক টানতে হোটেল এবং লজের ঘর বুকিংয়ে বিশেষ ছাড় দিচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাঁদের সংগঠন জানাচ্ছেন, অনলাইনে বুকিং বা দিঘা বেড়াতে গিয়ে হোটেল ভাড়া করতে গেলে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। মূলত ওল্ড দিঘার হোটেল এবং লজগুলিতে এ ধরনের ছাড় দেওয়া হচ্ছে বলে সংগঠন সূত্রের খবর। আর শুধু ওল্ড দিঘাতেই হোটেল রয়েছে ১৫০-র কাছাকাছি।
দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের সভাপতি তথা স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সুশান্ত পাত্র বলেন, ‘‘হোটেলে এবং লজে পর্যটক নেই বললেই চলে। আর্থিক মন্দার পরিস্থিতিতে পর্যটকেরা যাতে বেশি সংখ্যায় বেড়াতে আসেন, সে জন্য ঘর ভাড়ায় ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে।’’
অবশ্য হোটেল ভাড়ায় ছাড় মিললেও কোভিড বিধি নিয়ে কোনও রকম আপস করা হবে না বলে হোটেল মালিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকারি নির্দেশ মেনে প্রতিষেধকের দু’টিল ডোজ়ের শংসাপত্র বা করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে তবেই হোটেলে ঢুকতে পারবেন পর্যটকেরা। বুধবার থেকে দিঘাতেই শিবির করে পর্যটকদের করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। হোটেল মালিক সংগঠনের উদ্যোগে ওল্ড এবং নিউ দিঘায় শিবির করা হয়। পরীক্ষার কিট কেনার জন্য পর্যটকদের কাছ থেকে ২৪০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। শিবিরে বুধবার ৯২ জন, বৃহস্পতিবার ওল্ড দিঘায় ১০০ এবং নিউ দিঘায় ৭২ জন পর্যটক করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন। তবে কারও রিপোর্ট পজ়িটিভ আসেনি বলে দাবি হোটেল মালিক সংগঠনের।
হোটেল মালিকদের পাশাপাশি প্রশাসনিক উদ্যোগে ও দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করানো শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন, ‘‘দু'বছর ধরে করোনার জন্য পর্যটন শিল্পে ভাটা পড়েছে। পর্যটক এবং স্থানীয়দের সুবিধার্থে প্রশাসন বিধি জারি করেছে। তবে চাইলেই পর্যটকেরা এখানে এসে পরীক্ষা করাতে পারেন। দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালেও করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।’’