Dilip Ghosh

প্রাতর্ভ্রমণে বস্তি পরিদর্শন দিলীপের

পূর্ব মেদিনীপুরে এ দিন একাধিক কর্মসূচি ছিল দিলীপের। এ দিন  প্রাতভ্রমণে বেরিয়ে এগরা ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আগুনে ভস্মীভূত বস্তি এলাকা পরিদর্শন করেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সাহায্যের আশ্বাস দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

এগরা শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:২৪
Share:

শনিবার এগরায় দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।

শুক্রবার রাতেই এসেছিলেন এগরায়। পূর্ব পরিকল্পনা মতো শনিবার সকালে হাজির হলেন এগরার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে পুড়ে য়াওয়া বস্তি পরিদর্শনে। পরে এগরাতেই ‘চা- চক্রে’ যোগ দিয়ে তৃণমূলের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুরে এ দিন একাধিক কর্মসূচি ছিল দিলীপের। এ দিন প্রাতভ্রমণে বেরিয়ে এগরা ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আগুনে ভস্মীভূত বস্তি এলাকা পরিদর্শন করেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সাহায্যের আশ্বাস দেন। পরে এগরার বালিঘাই বাসস্ট্যান্ডে ‘চা-চক্র’ সভায় যোগ দেন তিনি। শুভেন্দুর বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের কেউ নেতা হতে পারবে না। নেতা শুধু কালিঘাটে তৈরি হয়। শুভেন্দু অধিকারী যতই লাফান, কর্মচারী হয়েই থাকতে হবে। নেতা হতে গেলে বিজেপিতে আসতে হবে। বিজেপিতে এলে যোগ্য সম্মান দিতে নেতা মর্যাদা দেওয়া হবে। বিজেপি নেতা তৈরি করে। তাই আমার মতো গ্রামের ছেলেকে বিজেপি নেতা বানিয়েছে।’’ উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে শুভেন্দুর একাধিক বক্তৃতাতেও তিনি নিজেকে গ্রামের ছেড়ে বলে দাবি করেছেন।

এর পরেই দিলীপ নেতা বানানো প্রসঙ্গে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলে মুকুল রায় যোগ্য সম্মান পাননি। বিজেপি আজ তাঁকে সর্বভারতীয় নেতা বানিয়েছে।’’

Advertisement

সম্প্রতি যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতায় বিজেপি নেতাদের কাটক্ষ করে ‘গুন্ডা’ও বলেছেন। এদিন অভিষেককেও এক হাত নিয়েছেন দিলীপ। তাঁর কথায়, ‘‘ভাইপোর পিছনে ২৫টি গাড়ির কনভয় থাকে। কে সেই লাটের বাট। কোলে চড়ে নেতা ও সাংসদ হয়ে লোককে ধমকাচ্ছে, চমকাচ্ছে। এই রকম নেতা আমাদের বুথে তৈরি হয়। লোককে লুট করে সাত কোটি টাকার বাড়িতে থাকা। সব জায়গায় লুটের টাকা কালীঘাটে যাচ্ছে।’’

এ দিন বালিঘাইয়ের সভায় এগরার তৃণমূলের উপ পুরপ্রশাসক পারুল মাইতির ভাইপো বিশ্বজ্যোতি মাইতি-সহ একাধিক ব্যক্তি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন। দলবদল নিয়ে দিলীপের বক্তব্য, ‘‘তৃণমূলের যদু বংশ ধ্বংসের সেই মুষলপর্ব কাঁথি থেকে শুরু হয়েছে। দলের অন্দরে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। অনেক বিধায়ক নেতা লাইনে রয়েছেন। তাঁরা শুধু ভালও তিথি দেখছে বিজেপিতে যোগদানের জন্য।’’ ওই সভা শেষে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ‘সংকল্প যাত্রা’য় যান দিলীপ। এ দিন বিজেপি’র কর্মসূচিতে ছিলেন বিজেপি কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী, কৌশিক মণ্ডল, আশিস নন্দ প্রমুখ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement