ফািল চিত্র।
দিনকয়েক আগে রেলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে গিয়ে বিজেপিকে বিঁধেছিল তৃণমূল। এ বার ডিআরএমের সঙ্গে কথা বলতে এসে রেলশহরে পুলিশ-তৃণমূল-দুষ্কৃতী আঁতাতের অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খড়্গপুর শহর ও সংলগ্ন গ্রামীণ এলাকায় ঠাসা কর্মসূচি ছিল মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপের। সকালে প্রথমে চা-চর্চায় খড়্গপুর-১ ব্লকের দক্ষিণ মণ্ডলের খেলাড়ে যান তিনি। শহরে ফিরে রেলের ডিআরএমের সঙ্গে দেখা করেন। রেলের বিরুদ্ধে ডিআরএম অফিসের সামনেই জমায়েত করে বিজেপি ও ডিআরএমের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল তৃণমূল। এ দিন সেই ডিআরএমের প্রশংসা করে দিলীপ বলেন, “খড়্গপুরের বেশিরভাগ এলাকাই রেলের। এই ডিআরএম আসার পরে অনেক কাজ শুরু করেছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে কিছু দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ হবে বলে ডিআরএম জানিয়েছেন। ফুটব্রিজও নতুন বছরের গোড়ায় শেষ হয়ে যাবে।”
স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে তৃণমূল ও পুলিশকে এ দিনও বিঁধেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রেলশহরে পেট্রোল পাম্পে ছিনতাইয়ের প্রসঙ্গ তুলে দিলীপ বলেন, “ভোট এলে রাজ্যের শাসকদল জেতার জন্য সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করবে। দুষ্কৃতীদের জেল থেকে বের করার প্রক্রিয়া চলছে। আমি বিধায়ক হওয়ার পরে খড়্গপুরে দুষ্কর্ম বন্ধ ছিল। বিধানসভা উপ-নির্বাচনে আমরা হেরে যাওয়ায় পুলিশ-প্রশাসনের সহযোগিতায় দুষ্কর্ম আবার বেড়েছে।”
এ দিন খড়্গপুরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন দিলীপ। বিজেপির ওই মঞ্চে দিলীপের জন্য ছিল সিংহাসন, বক্তৃতার জন্য মাইক। কিন্তু বিভিন্ন দল থেকে বিজেপিতে যোগদান ঘিরে বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। মাঝপথেই মঞ্চ ছাড়তে দেখা যায় দিলীপকে। পরে সভা পরিচালনা করেন ওয়ার্ডের বিজেপি কর্মীরা।
এ দিন শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদান নিয়েও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দিলীপ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর কটাক্ষ, “অজিত মাইতির এত উদ্বেগ কেন। এখনও তো শুরুই হয়নি। জানুয়ারি মাসে এত ঘাম দেবে, গায়ে কম্বলেরও প্রয়োজন হবে না।” তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি পাল্টা বলেন, ‘‘২০১৯ সালের শীতে খড়্গপুরের উপ-নির্বাচনে দিলীপ ঘোষের ঘাম ঝরেছিল। এ বার আমরা গ্রীষ্মে ১৫টি আসনে গোল দিয়ে বুঝিয়ে দেব আসল গরম কাকে বলে। আসলে তৃণমূল থেকে একজন গিয়ে বিজেপির সব আলো কেড়ে নিয়েছেন। দিলীপ ঘোষ অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে আবোল-তাবোল বকছেন।’’