জনসংযোেগ দিলীপের র্যালি। দাঁতনে। নিজস্ব চিত্র।
‘ভাইপো’র পরে এ বার ‘খোকাবাবু’। ফের বিজেপির নিশানায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার মোহনপুরে নাম না করেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিষেকের সঙ্গে রাহুল গাঁধীর তুলনা টানেন। তৃণমূলকে ‘কাটমানির দল’ বলে উল্লেখ করে দিলীপ কর্মী-সমর্থকদের বলেন, ‘‘আপনাকে জিজ্ঞাসা করলে বলবেন কাটমানি কে খায়? ভাইপো। কয়লা, বালি, আমপানের টাকা কে খায়? ভাইপো।’’ তারপরই দিলীপের খোঁচা, ‘‘একজন খোকাবাবু দিল্লিতে আছে তার কেউ নাম নেয় না। আগামী মে মাসের পরে এই খোকাবাবুরও কেউ নাম নেবে না।’’
শুক্রবারের পরে এ দিনও মোহনপুর ও দাঁতনে একাধিক কর্মসূচি করেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ। প্রথমে চা চক্র, দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করেন। পরে যোগ দেন র্যালিতে, কয়েকটি জায়গায় বক্তব্যও রাখেন। এ দিনও আগাগোড়াই ছিল তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন দিলীপ। ধানের সহায়ক মূল্য থেকেও তৃণমূল কাটমানি নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তৃণমূল নেতাদের দলত্যাগের প্রসঙ্গও উস্কে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি। কটাক্ষ করেন, ‘‘দিদির ভাইরা সব চলে যাবে বলছে। দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। আর এতে কালীঘাটের ওই চালাঘরটা ভাঙল বলে। টালি খসে খসে পড়ছে।’’
মোহনপুরের রামপুরা, নয়াগাঁ, বোড়াই, গোমুণ্ডা, ধুইপাড়ার পর দাঁতনের বরঙ্গি, আঁইকোলা, পলাশিতে গৃহ সম্পর্ক অভিযান সেরে বলভদ্রপুরে দাঁতন দক্ষিণ মণ্ডলের দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করে হুডখোলা গাড়িতে চেপে শোভাযাত্রা করেন দিলীপ। দাঁতন হাসপাতালের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিকে ‘দুয়ারে দুয়ারে চাল চোর’ বলে আক্রমণ করেন। ‘যমের দুয়ারে সরকার’ পৌঁছেছে বলেও কটাক্ষ করেন। রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আদতে কাজে দেয় না, আগামীতে কেন্দ্রের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ এখানেও কার্যকর হবে বলে দাবি করেন দিলীপ। তাঁর কথায়, ‘‘কোথাও এই কার্ডের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। এবারে দিদির কার্ড চলবে না, দাদার কার্ড চলবে।’’
আক্রমণ থেকে বাদ যায়নি পুলিশও। বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তনের পর যে সব পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়েছে তাদের কোমরে দড়ি বেঁধে টেনে আনার হুমকি দিয়েছেন দিলীপ। বিধানসভায় জয়ের পরে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদেরও জেলে পাঠানো থেকে গ্রামছাড়া করার হুমকি দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
দিলীপ ঘোষের বক্তব্যকে ‘আবোল-তাবোল’ বলে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির দাবি, ‘‘ওর মাথা খেপে গিয়েছে। ঝড় এলে পিঁপড়েরা টের পায়। দিলীপ ঘোষ হচ্ছে পিঁপড়ের জাত। ২০২১ সালে ওদের ধ্বংস হবে। তাই আবোলতাবোল বকে মানুষের দৃষ্টি ও মত ঘোরাতে চাইছে। কিন্তু পারবে না।’’