নাচে মেতেছেন দিঘায় আসা পর্যটকরা। নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই আলোক মালায় ঝলমলিয়ে উঠেছিল সৈকতসুন্দরী দিঘা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেই আলোর উজ্জ্বলতা ছড়িয়ে পড়েছিল চারদিকে। ডিজে বক্সের তালে তালে উন্মাদনায় ভাসলেন দিঘায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা।
করোনা বিধিকে তোয়াক্কা না করেই আনন্দে মেতেছিলেন পর্যটকদের অনেকেই। পর্যটকদের দাবি করেন, দীর্ঘ গৃহবন্দি দশা কাটিয়ে বছরের শেষ দিন খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিতেই দিঘায় ছুটে এসেছেন তাঁরা। তাই কিছু সময়ের এই নিরবচ্ছিন্ন আনন্দের প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করতে চেয়েছেন।
বছরের শেষ দিনটিকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কোনও কসুর রাখেননি স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে হোটেল ব্যবসায়ীরা। বছরের শেষ ছুটি কাটাতে দিঘা-মন্দারমণি-তাজপুরের অধিকাংশ হোটেল আগে থেকেই বুকিং হয়ে গিয়েছিল। আলোক মালায় সেজে উঠেছিল অধিকাংশ হোটেল। সরকারি ভাবেও সমস্ত পার্ক, সমুদ্রসৈকত রঙিন আলোয় সাজানো হয়।
রাত্রি ১২টা বাজার মুহূর্তেই চার দিকে জ্বলে ওঠে রঙিন তুবড়ি, প্যারাডাইস, চকোলেট বোমা। ওড়ানো হয় নানা আকারের ফানুস। পুলিশি নজরদারি থাকলেও বর্ষবরণের রাতে সে ভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। তাই গভীর রাত পর্যন্ত খোলা আকাশের নীচে বর্ষবরণের আনন্দে মেতেছিলেন পর্যটকরা।