দিঘায় পর্যটকদের ভিড়। নিজস্ব চিত্র।
বর্ষশেষে রাত উদ্যাপন করতে পর্যটকদের ঢল সৈকত শহর দিঘায়। বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণে অনুষ্ঠান দেখতে শনিবার সন্ধ্যার পর ভিড় আরও বাড়ে। বড়দিনের তুলনায় সেই ভিড় বেশ খানিকটা বেড়েছে। তবে এখনও কমবেশি পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ রুম খালি বলেই জানিয়েছেন সেখানকার হোটেল ও লজ মালিকেরা।
গত ২৫ ডিসেম্বর থেকেই দিঘা, মন্দারমণিতে পর্যটকদের আসা শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করে পর্য়টন কেন্দ্রে। ‘দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’এর যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বড়দিনের তুলনায় হোটেলগুলিতে বেশি পর্যটক রুম ভাড়া নিয়েছেন। তবে এই প্রথমবার নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে আগের মত পর্যটকদের ঢল দেখা যায়নি। রবিবার নববর্ষ উপলক্ষে পিকনিক করতে আসা পর্যটকের ফলে ভিড়টা কিছুটা বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।’’ দিঘার হোটেল মালিক সংগঠনের আরেক কর্মকর্তা গিরিশ চন্দ্র রাউত বলেন, ‘‘অতীতে এমন দিনে ভিড় উপচে পড়ত। কিন্তু সেই ছবিটা এ বছর উধাও।’’ তবে শনিবার সকাল থেকেই কানায় কানায় পূর্ণ মন্দারমনি। তাজপুর এবং শঙ্করপুরেও বহু পর্যটক ভিড় জমিয়েছেন।
সকালের দিকে সমুদ্রে জোয়ার চলায় দিঘায় পর্যটকদের স্নানে নামতে দেওয়া হয়নি। তবে দুপুরে ভাটা শুরু হতেই সমুদ্র স্নান শুরু হয়। সন্ধ্যার পর থেকে বর্ষ বিদায় উপলক্ষে দিঘায় নানারকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। সৈকতের ধারে সরকারি উদ্যোগে গান বাজনার আসর বসে। রাতে আতসবাজিও ফাটানো হয়। পর্যটকদের ভিড় বাড়ায় সৈকত শহরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তারও বন্দোবস্ত করা হয়েছে। রাতে সৈকতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। রাস্তায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে টহলদারির বন্দোবস্ত ছিল। কাঁথির এসডিপিও সোমনাথ সাহা বলেন, ‘‘পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিঘা ছাড়াও অন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটকরা যাতে নিরাপদে সমুদ্রে স্নান করতে পারেন, সে জন্য সমুদ্রে স্পিড বোট, নুলিয়া রাখা হয়েছে। বাইরে থেকে বাড়তি নুলিয়াও আনা হয়েছে। উপকূল থানার পুলিশ বাহিনীও টহল দেবে।” এসডিপিও জানান, এ দিন সকাল থেকেই দিঘা অভিমুখী পর্যটকদের গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। তাই বাজকুল থেকে দিঘা পর্যন্ত কলকাতা-দিঘা রাস্তায় বিশেষ ট্র্যাফিক ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি’র মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। দিঘা থানা ও মোহনা থানায় দু’টি কন্ট্রোল রুম চালুকরা হয়েছে।