মঙ্গলবার ঘাটালের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন তৃণমূলের সাংসদ-অভিনেতা দেব। ছবি: পিটিআই।
ক্ষতিপূরণের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ না করে তা বন্যা হওয়ার আগেই দিলে সাধারণ মানুষকে এত দুর্ভোগ পোহাতে হয় না। মঙ্গলবার ঘাটালের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের পর ওই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বললেন তৃণমূলের সাংসদ-অভিনেতা দেব। তাঁর মতে, ক্ষতিপূরণের টাকা ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য খরচ করা হলে তাতে ঘাটালবাসীদের এত ভোগান্তিতে পড়তে হত না।
দেবের মতে, কেন্দ্র-রাজ্যের দ্বন্দ্বের জেরেই যেন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের বাস্তবায়ন। তবে ঘাটালের মানুষের কথা ভেবেই এই পরিকল্পনা দ্রুত রূপায়ণ করা উচিত।
মঙ্গলবার কলকাতা থেকে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান ওই লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। দুপুরে ঝাড়গ্রাম থেকে ঘাটালের জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘাটাল থেকে হেলিকপ্টারে কলকাতা রওনা দেওয়ার আগে দেবকে ডেকে নিয়ে জলে দাঁড়িয়েই কথা বলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেব বলেন, ‘‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়িত করতে হবে। এ বার রাজ্য থেকে একটি দল দিল্লিতে সেচ মন্ত্রকে যাবে। যাতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ করা যায়। ঘাটালে যে ব্রিজগুলি ভেঙে গিয়েছে, তা যাতে দ্রুত মেরামতি করা যায়। মানুষকে কী ভাবে এই দুর্ভোগ থেকে বার করা যায়, তার চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।’’ দেবের মতে, ‘‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ করছি। আমি নিজে বহু বার সংসদে এ প্রসঙ্গ তুলেছি। দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সেচমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। যে হেতু কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের একটা দ্বন্দ্ব, সে হেতু কোথায় যেন ঘাটালের উন্নয়ন আটকে রয়েছে।’’
ঘাটালের জলমগ্ন এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেব। —নিজস্ব চিত্র।
দেবের আগেই অবশ্য এই প্ল্যান নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার তোপ দেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার দাবি, বার বার বলা সত্ত্বেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদন দিচ্ছে না কেন্দ্র।
কেন্দ্রের সহযোগিতায় বন্যা কবলিত মানুষদের ভোগান্তির এড়ানো যেত বলেও মনে করেন দেব। কেন্দ্রের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আমি একটা অরাজনৈতিক কথা বলতে চাই। বন্যা হয়ে যাওয়ার পর হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। এখনও ক্ষয়ক্ষতির তালিকা পাঠানো হলে তার টাকা দেওয়া হবে। তবে যদি এই টাকাটাই বন্যা হওয়ার আগে দেওয়া হত, সে টাকায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের বাস্তবায়ন ঘটত। মানুষকে এই দুর্ভোগে পড়তে হত না।’’