TMC Internal Conflict

মমতার বার্তার পরেও কোন্দল!

দলের কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশে নালিশ করার বিষয়ে তৃণমূলেরই ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলের মদতের রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পার্থসারথী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪ ০৫:৩৩
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জেলায় প্রশাসনিক সভা করতে এসে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বদের কোন্দল বন্ধে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই তমলুক শহরে তৃণমূলের নেতৃত্বের গোষ্ঠী কোন্দল ফের প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগ, পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেস রাজ্য সহ-সভাপতি পার্থসারথী মাইতির অনুগামী একজন তৃণমূল কর্মীকে দলের স্থানীয় এক মহিলা কর্মীকে মারধর করেছেন। মঙ্গলবার সকালে তমলুক থানার পুলিশ তাঁকে আটক করে। এদিকে, দলের কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশে নালিশ করার বিষয়ে তৃণমূলেরই ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলের মদতের রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পার্থসারথী।

Advertisement

তমলুকের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক মহিলা পুরসভার টিকাকরণ কর্মসূচিতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা তথা পুরসভার সাফাই বিভাগের এক কর্মী তাঁকে মঙ্গলবার সকালে হেনস্থা ও মারধর করেন বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর গৌতম পাল তমলুক থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। তমলুক থানার পুলিশ গিয়ে ওই সাফাই কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে পার্থসারথী মাইতি দলীয় ওই কর্মীকে থানা থেকে ছাড়ানোর জন্য হস্তক্ষেপ করেন। এতে শহরের তৃণমূলের দুই কাউন্সিলরের কোন্দল প্রকাশ্যে আসে।

পার্থসারথী জানান, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হলেও তাঁর বাড়ি ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেড সমাবেশ রয়েছে। সেই সভার সমর্থনে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কয়েকজন কর্মীকে দিয়ে তিনি শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পোস্টার লাগানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। ওই কর্মীদের মধ্যে ছিলেন পুরসভার সাফাই বিভাগের এক কর্মী। পার্থসারথীর দাবি, স্থানীয় গোলমালের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ কর্মীকে আটক করেছিল। পার্থসারথীর কথায়, ‘‘আমার সঙ্গে থাকা দলের ওই কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ করার ঘটনায় আমাদের দলেই একাংশ নেতৃত্ব জড়িত। এভাবে দলের ওই কর্মীকে হেনস্থা করা ঠিক হয়নি।’’

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই ঘটনায় পার্থসারথী তমলুকের পুরপ্রধানের কাছে নালিশ করেছেন। পুরপ্রধান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় বলছেন, ‘‘ওই ঘটনার বিষয়টি নজরে এসেছি। এই বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিতে হবে। এখনই এ নিয়ে মন্তব্য করব না।’’ এক দিন আগেই মমতা কোন্দল মেটানোর বার্তা দেওয়ার পরেও এমন অভিযোগ সামনে আসছে কেন? ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলর গৌতম পাল অবশ্য কোন্দলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে জানা গিয়েছে, দলের মহিলা কর্মীকে মারধরের ঘটনায় তিনিও পার্থসারথীর বিরুদ্ধে পুরপ্রধানকে নালিশ জানিয়েছেন। গৌতম বলেন, ‘‘আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক মহিলা পুরসভার টিকাকরণ কর্মসূচিতে গেলে তাঁকে হেনস্থা ও মারধর করেছিলেন সাফাই বিভাগের ওই কর্মী। মহিলা আহত হয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা করানো হয়েছে। এভাবে মহিলাকে মারধর করায় আমি পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলাম শুধু। ওই ব্যক্তি আমাদের দলের কর্মী নয়। আর পার্থসারথীর হয়ে তৃণমূলের পোস্টার দেওয়ার দাবিও ঠিক নয়। এ বিষয়ে আমিও পুরপ্রধানকে জানিয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement