—প্রতীকী চিত্র।
বর্ষার শুরুতেই পাঁশকুড়া পুর এলাকায় ও শিল্পশহর হলদিয়ায় শুরু হয়েছে ডেঙ্গির সংক্রমণ। পাঁশকুড়ায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এই মুহূর্তে দু'জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হলদিয়ায় ৬ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে।
গত মাসেও পাঁশকুড়া শহরে এক ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। শহরবাসীর অভিযোগ পুরসভা শহরের ড্রেনগুলি নিয়মিত পরিস্কার না করার জন্য বাড়ছে ডেঙ্গি সংক্রমণ।
গত মাসের ২৪ তারিখ নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পুরসভাগুলির বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী যে সমস্ত পুরসভার নাম করেছিলেন তার মধ্যে ছিল পাঁশকুড়া পুরসভাও। গত সপ্তাহে ভারী বৃষ্টির পর পাঁশকুড়া পুর এলাকার বেহাল নিকাশির ছবিটা ফের সামনে আসে। একাধিক ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জমা জল নামতে না নামতেই পাঁশকুড়া পুর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। জানা গিয়েছে শহরে ১৩ ওয়ার্ডের এক ছাত্র এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের এক মহিলা ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শহরবাসীর অভিযোগ, ওয়ার্ডের ড্রেনগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। মশা মারার তেল স্প্রে করা হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে সমাজমাধ্যমে সরব শহরের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা কংগ্রেস নেতা কল্যাণ রায়। যদিও পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন নন্দকুমার মিশ্রের দাবি, ‘‘১৫ নম্বর ওয়ার্ডে এক জনের ডেঙ্গি হয়েছে। তিনি অন্যত্র আক্রান্ত হয়ে শহরে এসেছেন। গত মাসেও শহরে যিনি ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি ভিন রাজ্য থেকে সংক্রমণ নিয়ে এসেছিলেন। পাঁশকুড়া পুরসভায় এক জনও ডেঙ্গি আক্রান্ত হননি। পুরসভার তরফে সর্বত্র মশা মারার তেল স্প্রে করা, ব্লিচিং ছড়ানো ইত্যাদি চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।"
হলদিয়া পুরএলাকাতে ৬ ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে ২ আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি, বাকিরা সুস্থ বলে দাবি পুরসভার। পুরসভার সূত্রের খবর, সম্প্রতি ১ মাসের মধ্যে ৬ জুন ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গেল হলদিয়া পুর এলাকায়।
৪ আক্রান্ত ভিন রাজ্য এবং অন্য শহর থেকে এসেছে বলে দাবি পুরসভার। ২ আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে পুর এলাকা থেকে। হলদিয়া পুরসভার ২, ৫, ১৯, ২২, ২৪ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। বুধবার ৪ আক্রান্তের বাড়ি পরিদর্শনে যান পুরপ্রশাসক তথা হলদিয়ার মহকুমা শাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়। আক্রান্তের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন পুর প্রশাসক। পুরসভার দাবি, কর্মীরা পুর এলাকায় দিনরাত কাজ করছেন। বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। কারও জ্বর অনেক দিন ধরে থাকলে রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কর্মীদের তরফে। হলদিয়ার পুর প্রশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আক্রান্তদের বাড়ি-বাড়ি গিয়েছি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। কোনও এলাকায়যাতে জল না জমে, সে বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে।"