সরকারি ব্যবস্থা নেই, গ্রামেই সৎকার করোনায় মৃত বৃদ্ধের

এগরা মহকুমায় এই প্রথম করোনা আক্রান্ত কারও মৃত্যু হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

এগরা শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২০ ০১:১১
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনা সংক্রমিতের মৃতদেহ সৎকারের কোনও সরকারি পরিকাঠামো নেই এগরা মহকুমায়। পটাশপুরের অমর্ষির বাসিন্দা এক বৃদ্ধের মৃত্যুর পরে তাই মৃতদেহ পরিবারের হাতেই দেওয়া হল। পুলিশের নজরদারিতে বাড়ি পাঠানো হল দেহ। শেষে স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশের উপস্থিতিতে করোনা সুরক্ষাবিধি মেনে গ্রামেই হল শেষকৃত্য। করোনা আক্রান্ত ওই বৃদ্ধের সূত্রে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এইচডিইউ বিভাগও।

Advertisement

এগরা মহকুমায় এই প্রথম করোনা আক্রান্ত কারও মৃত্যু হল। এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে গত শুক্রবার রাতে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি করা হয় বছর পঁচাশির ওই বৃদ্ধ। তাঁর হৃদ্রোগের সমস্যা হয়েছে বলে শনিবার সকালে চিকিৎসকেরা বৃদ্ধকে জেনারেল বিভাগে স্থানান্তরিত করে দেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে জেনারেল এইচডিইউ বিভাগে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পরে রিপোর্ট এলে দেখা যায় ওই বৃদ্ধ করোনা সংক্রমিত ছিলেন।

এই মৃত্যুতে হাসপাতাল জুড়ে শোরগোল পড়ে। বৃদ্ধের পরিজনেরা চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে সরব হন। প্রশাসনিক উদ্যোগে গোটা মহকুমায় করোনায় মৃতের দেহ সৎকারের পরিকাঠামো নেই। তাই বৃদ্ধের পরিবারের লোকেরা মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে প্রশান বা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে কোনও আপত্তি করা হয়নি। এগরার মহকুমা শাসক অপ্রতীম ঘোষ বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ সৎকারে কোনও ব্যবস্থা নেই। পুরসভা এই সংক্রান্ত পর্যালোচনা করবে।’’

Advertisement

শনিবার রাতে পুলিশের নজরদারিতে বৃদ্ধের মৃতদেহ পটাশপুরের বাড়িতে পাঠানো হয়। স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী ও পুলিশ-প্রশাসনের নজরদারিতে করোনা সুরক্ষা বিধি মেনে মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে। দেহ কাউকে স্পর্শ করতে দেওয়া হয়নি। দূর থেকে ধর্মীয় আচার পালন করা হয়। তিনজন পিপিই পরে যাবতীয় সুরক্ষা নিয়ে অন্ত্যেষ্টি কাজ সম্পন্ন করেন। শনিবার রাতেই এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বিকল্প এইচডিইউ বিভাগে বাকি রোগীদের স্থানান্তরিত করে বৃদ্ধ যেখানে ছিলেন সেই ওয়ার্ড জীবাণুমুক্ত করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement