ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন দিঘার উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। —নিজস্ব চিত্র
সোমবার বিকেল থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরানোর কাজ শুরু করল প্রশাসন। দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর এবং হলদিয়া থেকে বহু মানুষকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে সমুদ্র এবং নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে প্রায় ৯৫ হাজার মানুষকে সরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সোমবার সৈকত শহর দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর এবং হলদিয়ার উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ফ্লাড সেন্টার বা ত্রাণ শিবিরে। গোটা জেলায় ১৭টি ফ্লাড সেন্টার রয়েছে। এ ছাড়া ৪০০টি স্কুলে অস্থায়ী শিবিরও করা হয়েছে। সেখানে মজুত করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণ শুকনো খাবার।
ফ্লাড সেন্টারে রাখা হয়েছে গবাদি পশুদেরও। নিজস্ব চিত্র
সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয় দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বৃষ্টির বেগ বাড়তে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে বিকেল থেকেই উপকূলবর্তী এলাকার মানুষকে সরানোর কাজ শুরু করে প্রশাসন। গবাদি পশুগুলিকেও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ স্থানে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনা এড়াতে ইতিমধ্যেই জেলা জুড়ে বিপজ্জনক হয়ে থাকা গাছের ডালপালা ছেঁটে ফেলা হয়েছে। ঝড়ে রাস্তায় গাছ পড়ে গেলে সেগুলোও দ্রুত সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।