ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি। —ফাইল চিত্র।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। সেই ‘অশনি’ সঙ্কেত মিলতেই তার মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। দিঘা, রামনগর, মন্দারমণি-সহ সর্বত্রই চলছে নজরদারি। দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন দফতরের কর্মীদের নিয়ে ২৪টি আপৎকালীন গোষ্ঠী করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। প্রয়োজনে এই গোষ্ঠীর সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।
সমুদ্র উপকূলবর্তী দিঘা, শঙ্করপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় ফ্লাড সেন্টারগুলিকে তৈরি রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার এবং বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও মজুত রাখা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক শৌভিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিভিন্ন দফতরের কর্মীদের নিয়ে যে ২৪টি আপৎকালীন গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে তারা ইতিমধ্যে কাজে নেমে পড়েছেন। যদি প্রয়োজন হয় আরও গোষ্ঠী তৈরি করে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য মোতায়েন রাখা হবে।’’ দুর্যোগে গাছ ভেঙে পড়ে যাতে রাস্তা আটকে না যায় সে জন্য বিভিন্ন এলাকায় বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা গাছগুলিকে চিহ্নিত করে সেগুলি দ্রুত কেটে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা বিদ্যুতের খুঁটি এবং তারও দ্রুত সারিয়ে ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়াও কিছু জায়গায় নদী এবং সমুদ্রের বাঁধও দ্রুত মেরামত করে নেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
কাটা হচ্ছে বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা গাছের ডাল। নিজস্ব চিত্র।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দুকুমার মাজি বলেন, “ইয়াসের পর দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য গোটা জেলায় পুরসভা থেকে ব্লক এবং পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত সর্বত্র আপৎকালীন সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। কাঠ কাটার যন্ত্র, দড়ি, টর্চ, হেলমেট, বুট ইত্যাদি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রতি এলাকায় প্রশিক্ষিত দল তৈরি হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা পুরোপুরি তৈরি।”