আক্রান্তেরা। শুক্রবার দেবেন্দ্র পঞ্চায়েত এলাকায়। নিজস্ব চিত্র
আমপানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় গোটা জেলা। শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলন করতে গিয়ে এ বার আক্রান্ত হল গ্রামবাসীরা। কাঁথি-৩ ব্লকের দেবেন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বলাগেড়িয়ায় পঞ্চায়েত অফিসের সামনে এই ঘটনায় এক মহিলা সহ দুজন গুরুতর জখম হয়। খবর পেয়ে সেখানে যায় মারিশদা থানার পুলিশ। আহতদের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিন বিকেলে এলাকার প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাতে দলমত নির্বিশেষে এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা পঞ্চায়েত অফিসে গিয়েছিলেন। সেই সময় শাসক দলের মদতে ‘বহিরাগত’ দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপরে হামলা চালায় ও মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকী মহিলাদেরও নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এক পরিযায়ী শ্রমিকের দাবি, ‘‘ঘূর্ণিঝড়ে বাড়ি ভেঙে গিয়েছিল। কয়েকদিন আগে বাড়ি ফিরে ক্ষতিপূরণের জন্য পঞ্চায়েত অফিসে যোগাযোগ করি। কিন্তু কিছুই জোটেনি। বৃহস্পতিবার ত্রিপল দেবে বলে ডেকেছিল। ওখানে গেলে তৃণমূলের লোকেরা আমাদের উপরে হামলা করে।’’ এক মহিলার অভিযোগ, ‘‘ক্ষতিপূরণের দাবি জানাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছি। পরনের কাপড় ছিঁড়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পেছনের মারধর করা হয়।’’ পাল্টা রুখে দাঁড়ায় জনতা। অশান্তির খবর পেয়ে মারিশদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুষ্কৃতীরা পিছু হটে।
এ ব্যাপারে পঞ্চায়েতের প্রধান সুকুমার সাহুকে ফোন করা তিনি বলেন, ‘‘ব্লক প্রশাসনিক অফিসের কাজে ব্যস্ত। পরে কথা হবে।’’ যদিও নিরীহ গ্রামবাসীদের উপর এমন হামলার ঘটনায় শাসক দলকে দায়ী করেছে বিজেপি। বিজেপির কাঁথি জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সরকারি ক্ষতিপূরণে দুর্নীতি নিয়ে মানুষের ক্ষোভ চাপা দিতে পারবে না শাসক দল। তাই যেখানেই সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে, সেখানেঅ তাদের উপর অত্যাচার করছে শাসক দল।এর যোগ্য জবাব বিধানসভা ভোটে বুঝিয়ে দেবে মানুষ। যদিও এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল।’’ স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য ও ব্লক তৃণমূল সভাপতি নন্দ মাইতি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার সকলের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করছে। অহেতুক এটা নিয়ে এলাকায় ঝামেলা পাকাতে চাইছে বিজেপি। তবে মারধরের অভিযোগ সঠিক নয়।’’