Crops Damaged

আনাজ চাষে ক্ষতি ১ কোটির বেশি 

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী জেলায় ১১০ হেক্টর জমির আনাজের ক্ষতি হয়েছে। টাকার হিসেবে ওই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৫০
Share:

নয়াগ্রামে জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন বিধায়ক দুলাল মুর্মু। নিজস্ব চিত্র।

নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ঝাড়গ্রাম জেলায় সাতশোর বেশি বাড়ি ভেঙেছে। ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে আনাজ চাষের। ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন থেকে এমনই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে রাজ্যে।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী জেলায় ১১০ হেক্টর জমির আনাজের ক্ষতি হয়েছে। টাকার হিসেবে ওই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। জল পুরোপুরি নেমে যাওয়ার পরে ওই ক্ষতি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা। বুধবার নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু নয়াগ্রাম ব্লকের মলম, নরসিংহপুর, শুকদেবপুর-সহ কয়েকটি গ্রাম নৌকা চেপে পরিদর্শন করেন। দুলাল বলছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এদিন এলাকায় পরিদর্শন করেছি। এলাকা এখনও জলমগ্ন রয়েছে। আনাজ চাষে ক্ষতি হয়েছে। কিছু বাড়ি ভেঙেছে। মানুষকে প্রশাসিনক ভাবে সহযোগিতা করা হবে।’’

এই পরিস্থিতিতে আনাজের দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে। জেলা উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিক সালাউদ্দিন খান বলেন, ‘‘জেলার সব মিলিয়ে ১১০ হেক্টর জমির আনাজ নষ্ট হয়েছে। এরমধ্যে ৭৫ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে সাঁকরাইল ব্লকে। জল নামার পরে আরও ক্ষতি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, আনাজ গাছের গোড়ায় জল জমে থাকলে গাছ পচে যায়।’’

Advertisement

এই দুর্যোগে তুলনামূলক বেশি ক্ষতি হয়েছে জামবনি, গোপীবল্লভপুর-১, নয়াগ্রাম ও সাঁকরাইল ব্লকে। ডুলুং নদীর জল বাড়ায় সাঁকরাইল ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামে খালের কালভার্ট ভেঙে জল ঢুকে গিয়েছে। জলমগ্ন গ্রামগুলিতে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলায় মোট পাঁচটি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছিল। জামবনি ব্লকে ৪টি ও গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকে ১টি। জামবনি ব্লকের ত্রাণ শিবিরে ১০০ জন, গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকে ৭২ জন ছিলেন। বুধবার অবশ্য সবাই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। জেলায় ৩৭টি বাড়ি পুরোপুরি, ৬৮১ বাড়ি অর্ধেক নষ্ট হয়েছে।

প্রশাসনের চিন্তা বাড়িয়েছিল গালুডি থেকে ছাড়া জল। সোমবার ঝাড়খণ্ডের গালুডি থেকে ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৬৫০ কিউসেক জল ছেড়েছিল। যার ফলে সুবর্ণরেখা নদীর জলস্তর বেড়েছিল। এরপরে অবশ্য গালুডি থেকে নতুন করে জল ছাড়া হয়নি। মঙ্গলবার থেকে জেলায় বৃষ্টিও সেভাবে হয়নি। ফলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বুধবার দুপুরের পর থেকে ডুলুং নদীর জল কমেছে। ঝাড়গ্রাম-চিল্কিগড় যাতায়াত শুরু হয়েছে। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল বলেন, ‘‘যে সব এলাকায় জল ঢুকেছিল সেখানে আস্তে আস্তে জল নামছে। সব মিলিয়ে সাতশো বাড়ি ভেঙেছে। ত্রাণ শিবির থেকে এদিন সবাই বাড়ি ফিরেছেন।’’ বেলপাহাড়ি ব্লকের বেলপাহাড়ি থেকে শিলদা যাওয়ার গ্রামীণ রাস্তাটির মাঝে থাকা কালভার্টটি পুরো ভেঙে যাওয়ায় প্রায় ১০টি গ্রামের মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। ওই কালভার্ট শীঘ্রই তৈরি করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement