খাঁচায় বন্দি কুমির। নিজস্ব চিত্র।
ফের পূর্ব মেদিনীপুরে কুমির ধরা পড়ল মৎস্যজীবিদের জালে। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এলাকায় কাঁটাখালি খালের মধ্যে কুমিরটি স্থানীয় এক মৎস্যজীবীর জালে আটকা পড়ে। এই ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। নিজের জীবন বিপন্ন করে কুমিরটিকে ধরে ডাঙায় তোলেন মৎস্যজীবীরা। এরপরেই কুমিরটিকে পার্শ্ববর্তী খেজুরিতে বনদফতরের কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সুন্দরবন এলাকাতেই এই প্রজাতির নোনাজলের কুমিরের বাস। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় কুমিরটি কোনওভাবে নন্দীগ্রামের দিকে চলে এসেছে। প্রসঙ্গত, আমপান ঘূর্ণিঝড়ের পরে খেজুরি এবং বাজকুল এলাকা থেকে তিনটি নোনাজলের কুমিরের বাচ্চা উদ্ধার হয়েছিল। এ বার প্রথম উদ্ধার হল পূর্ণবয়স্ক কুমির।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় মৎস্যজীবি বিশ্বজিৎ ধাপড় এলাকার কাটাখালি খালে জাল ফেলেছিলেন মাছ ধরার জন্য। খালটি পাশের হুগলি নদীর সঙ্গে যুক্ত। আচমকাই জালে বিশাল কিছু আটকে পড়ে ছটফট করতে থাকে। বড় কিছু ধরা পড়েছে আঁচ করেই ধীরে ধীরে জালটি টেনে ওপরে তুলতেই চক্ষু চড়কগাছ সকলের। প্রমাণ চেহারার কুমিরটিকে দেখে প্রথমে কিছুটা হতচকিত হলেও পরে সেটিকে কসরৎ করে পাকড়াও করেন মৎস্যজীবীরা।
খবর পেয়ে কুমিরটিকে দেখতে ভীড় জমান এলাকাবাসীরা। খবর যায় খেজুরির বন দফতরে। বনকর্মীরা এসে কুমিরটিকে উদ্ধার করে খাঁচায় বন্দী করে নিয়ে যায়। বন দফতরের অনুমান, ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের সময় সুন্দরবন এলাকা থেকে ভেসে কুমিরটি বঙ্গোপসাগরের কিনারা বরাবর পাড়ি দিয়ে জলের তোড়ে নন্দীগ্রামের দিকে চলে এসেছিল।