প্রস্তুতি: চলছে দেওয়াল লিখন। নিজস্ব চিত্র
নতুন জেলা হওয়ার পরে ঝাড়গ্রামে প্রথম জেলা সম্মেলন করছে সিপিএম। দু’দিনের ওই সম্মেলন আজ, বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে। শেষ হবে কাল, শুক্রবার। তাৎপর্যপূর্ণ, ঝাড়গ্রাম শহরের বদলে সম্মেলন করার জন্য আপত ‘নিরাপদ’ মানিকপাড়াকে বেছে নেওয়া হয়েছে। আর সম্মেলনের প্রথম দিনের বদলে প্রকাশ্য সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে সমাপ্তি দিনে। মানিকপাড়ার নেতাজি ক্লাব মাঠের ওই সমাবেশে মুখ্য বক্তা হিসাবে হাজির থাকবেন দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
বর্তমান পরিস্থিতিতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় শাখা ও এরিয়া কমিটির সম্মেলন করতে গিয়ে শাসক দলের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে বাম কর্মীদের। তাই এ বার জেলা সম্মেলনের জন্য ওই বিপত্তি এড়ানোর জন্য ‘নিরাপদ’ এলাকা বেছে নিতে নিয়েছিলেন দলীয় নেতৃত্বেরা। সিপিএম সূত্রের দাবি, সেই দিক থেকে ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়া এলাকাটি তুলনামূলক ভাবে নিরাপদ।
সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, ঝাড়গ্রাম জেলার অন্য এলাকায় সম্মেলন করার মতো পরিস্থিতি নেই। তৃণমূলের নানা বিধিনিষেধের বেড়াজালে নিচুতলার সিপিএম কর্মীরা সক্রিয় রাজনৈতিক থেকে অনেকটাই সরে যাচ্ছেন। এ ছাড়া, বামকর্মীদের একাংশ বিজেপি’তেও যোগ দিচ্ছেন। সেই দিক থেকে বিচার করলে এক সময়ের খাসতালুক মানিকপাড়া এলাকায় তুলনামূলক ভাবে সিপিএমের অবস্থা কিছুটা ভাল।
সিপিএমের ঝাড়গ্রাম জেলার সম্পাদক ডহরেশ্বর সেন বলেন, “মানিকপাড়ায় আমাদের সংগঠন ভাল। ওখানে সম্মেলন করার মতো গণতান্ত্রিক পরিবেশ এখনও রয়েছে। তাই এখানে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।’’
সিপিএম সূত্রের খবর, জেলার ২২০টি শাখা কমিটি এবং ১৭টি এরিয়া কমিটিতে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো উল্লেখযোগ্য নতুন নেতা-নেত্রীর অভাব রয়েছে। দলের বর্তমান জেলা সম্পাদক বর্ষীয়ান নেতা ডহরেশ্বর সেনের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির উপর ভর করেই ঝাড়গ্রামে সাংগঠনিক ভাবে দলকে সুসংহত করার চেষ্টা হচ্ছে।
কয়েকমাস পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। জেলার ৮টি ব্লক এবং ৭৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সব জায়গায় লড়ার মতো জায়গায় নেই বামেরা। এই পরিস্থিতিতে কাল, শুক্রবার সূর্যকান্তবাবু কী বার্তা দেন, সে দিকেই তাকিয়ে জেলা রাজনীতির পর্যবেক্ষকেরা।