পাশে তৃণমূল, অফিস ফেরত পেল সিপিএম

দলীয় কার্যালয় উদ্ধারে শাসক তৃণমূলকে পাশে পেয়েছিল সিপিএম। সেই ‘জোরে’ই বিজেপি-র হাত থেকে দলীয় কার্যালয় মুক্ত করল সিপিএম।নজিরবিহীন এই ঘটনায় মেদনীপুর জুড়ে শোরগোল চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:০৭
Share:

তখন-এখন: বিজেপির হাত থেকে দখলমুক্ত বাম কার্যালয়। নিজস্ব চিত্র।

দলীয় কার্যালয় উদ্ধারে শাসক তৃণমূলকে পাশে পেয়েছিল সিপিএম। সেই ‘জোরে’ই বিজেপি-র হাত থেকে দলীয় কার্যালয় মুক্ত করল সিপিএম।

Advertisement

নজিরবিহীন এই ঘটনায় মেদনীপুর জুড়ে শোরগোল চলছে। সব থেকে বড় প্রশ্ন, যেখানে বছর খানেক আগেও এই মেদিনীপুর শহরে সিপিএম কার্যালয় দখলের অভিযোগ উঠত তৃণমূলের বিরুদ্ধে, সেখানে বিজেপি-কে ঠেকাতে এই উলটপুরাণ কেন!

কার্যালয় দখলমুক্ত করতে সিপিএমের পাশে থাকার কথা অবশ্য সরাসরি মানছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “আমরা সিপিএমের পাশে থেকেছি, এমন ব্যাখ্যা ভুল। দলীয় কর্মীরা শুধু চেয়েছেন, কার্যালয়টি যাদের ছিল, তাদেরই থাকুক। কোনও দখল-বেদখল চলবে না!” একই সুরে এলাকার তৃণমূল নেতা স্বপন পালের দাবি, “আমরা দখলের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। সিপিএমের অফিস সিপিএমেরই থাকবে।’’ সিপিএম নেতৃত্ব আবার এই ‘জয়ে’র কৃতিত্ব মানুষকে দিচ্ছেন। মেদিনীপুরের সিপিএম নেতা কীর্তি দে বক্সীর কথায়, “এলাকার মানুষ শুরু থেকে আমাদের পাশে ছিলেন। মানুষকে সঙ্গে নিয়েই আমরা ওই কার্যলয় দখলমুক্ত করেছি।’’

Advertisement

শাসক দল সিপিএমের পাশে ছিল বলেই কি এই ‘লড়াইয়ে’ হারতে হল বিজেপিকে? বিজেপির জেলা নেতা শুভজিৎ রায়ের জবাব, “সিপিএমের দলীয় কার্যালয় খুলে রাখার দায়িত্ব যে এখন তৃণমূল নিয়েছে তা এলাকার মানুষ বুঝতে পারছেন। তবে ওই কার্যালয় দখলের কোনও উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না। কার্যালয়ে যাঁরা থাকতেন তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁরাই ওখানে বিজেপি-র দলীয় পতাকা লাগিয়েছিলেন।’’

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালেই বিজেপির পতাকা নামিয়ে ওই কার্যালয়ে ফের সিপিএমের পতাকা লাগানো হয়েছে। ইটের দেওয়ালে বিজেপি শব্দটি মুছে ফের লাল কালিতে লেখা হয়েছে সিপিএম। মেদিনীপুরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তোড়াপাড়ায় সিপিএমের এই শাখা কার্যালয়ের দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় নেত্রী ছায়া রায়। রবিবার দলবদল করে বিজেপিতে নাম লেখান ছায়াদেবী ও তাঁর কিছু সঙ্গী। এরপরই সিপিএমের ওই কার্যালয়ের দখল নেয় বিজেপি।

কার্যালয় ফিরে পেতে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অনিমা সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করেন সিপিএমের কয়েকজন। অনিমাদেবী তাঁদের আশ্বস্ত করেন, সিপিএমের কার্যালয় সিপিএমেরই থাকবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেটাই হল শহর মেদিনীপুরে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement