সিপিএমের মহামিছিল।- নিজস্ব চিত্র।
নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই শক্তি বৃদ্ধিতে মরিয়া হয়ে উঠছে সিপিএম। তাদের ডাকা ২৬ নভেম্বর দেশ জুড়ে বনধের সমর্থনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল করছেন সিপিএম নেতারা। এর মধ্যে শনিবার দুপুরে কেশপুরে মহামিছিল করল সিপিএম।
দীর্ঘ দিন পর কেশপুরের মাটিতে মিছিল দেখা গেল সিপিএমের। একটা সময় কেশপুর মানেই ছিল সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি। সেখানে জামশেদ আলি ভবনে সিপিএম কর্মীদের আনাগোনা লেগে থাকত। কিন্তু এখন আর তা দেখা যায় না। ২০১১ সালের পর বন্ধ হয়ে যায় এই দলীয় কার্যালয়। ২০১৮ সালের ১৩ মে ফের খোলা হয় জামশেদ আলি ভবনটি।
নয়া কৃষি আইন বাতিল, শ্রম আইন বাতিল, বেকারদের কর্মসংস্থানের দাবিতে আগামী ২৬ নভেম্বর দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম-কংগ্রেস। তারই সমর্থনে আজ পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে মহামিছিলটি।
আরও পড়ুন: টাটা-অম্বানীদের ব্যাঙ্কিং-এ টানতে নয়া সুপারিশ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্যানেলের
মিছিলটি কেশপুর বাজার থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে। মিছিল থেকে আগামী ২৬ নভেম্বর ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানানো হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস সিংহ, জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য রামেশ্বর দলুই, জেলা কমিটির সদস্য আহমেদ আলি, নিয়ামত হোসেন। মিছিল শেষে কেশপুর পুরানো বাস স্ট্যান্ডে একটি সভা করেন তাঁরা। সভায় তাপস সিংহ বলেন, ‘‘ভয় ভেঙে লালঝাণ্ডার টানে কেশপুরের মানুষ বেরিয়ে পড়েছেন। অত্যাচার দুর্নীতির প্রতিবাদে মানুষ এ দিনের মিছিলে অংশ নিয়েছেন।’’ এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতেন ‘কেশপুর সিপিএমের শেষ পুর হবে’, সেই কথার সুরে তাপস সিংহ বলেন, ‘‘শেষ পুর কার হবে তা নিয়ে তৃণমূলই ভাবুক।’’