ছবি : সংগৃহীত।
মুখের ত্বকের যে সব অংশ থেকে তেল নিঃসরণ হয়, সেই সব জায়গায় ত্বকের রন্ধ্রপথে তেল জমে, মৃত কোষ জমে মুখ বন্ধ হয়ে গেলে তৈরি হয় ব্ল্যাক হেডস। মূলত নাকে, নাকের দু’পাশে এবং থুতনিতেই ওই ধরনর ব্ল্যাক হেডস তৈরি হয়। অনেকে সেই ব্ল্যাক হেডস তোলার জন্য পার্লারে যান। কেউ আবার হাতে চাপ দিয়ে ব্ল্যাক হেডস বার করার চেষ্টা করেন (যেটা করা উচিত নয় একেবারেই, সংক্রমণ হতে পারে)। অথচ এর কোনওটিই না করে ঘরোয়া টোটকায় ব্ল্যাক হেডসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব, বলছেন রূপটান শিল্পীরা। বাড়িতেই মজুত সামান্য উপাদানে তৈরি করা যায় স্ক্রাব। যা নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে ব্ল্যাক হেডস তো বটেই হোয়াইট হেডস এবং ব্রণ থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
১। লেবু-নুন
নুন এবং লেবু দুটি উপাদানই ত্বক পরিষ্কার করার জন্য উপযুক্ত। ১ চামচ সৈন্ধব নুন, ১ চামচ লেবু এবং সামান্য জল মিশিয়ে তৈরি করুন স্ক্রাব। নাকে, নাকের দু’পাশে এবং থুতনিতে বা যেখানে ব্ল্যাক হেডস রয়েছে সেখানে লাগান। আঙুল গোল করে ঘুরিয়ে ঘষুন ২-৫ মিনিট। তবে খুব বেশি জোরে ঘষবেন না। ঈষদোষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন।
লেবু ত্বকে থাকা ধুলো-ময়লা দূর করে ব্ল্যাক হেডস, হোয়াইট হেডস, এমনকি ব্রণের সমস্যাও দূরে রাখে। নুনে আছে ব্যাকটেরিয়ারোধক উপাদান। যা ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রে জীবাণু বা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া জমতে দেয় না।
২। বেকিং সোডা
বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য লেবু মিশিয়ে তাতে কয়েক চামচ কাঁচা দুধ দিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। মুখের যে সমস্ত জায়গায় ব্ল্যাক হেডস বা হোয়াইট হেডসের সমস্যা রয়েছে সেখানে লাগিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন। কিছুটা শুকিয়ে এলে আঙুল দিয়ে ঘষে ঘষে ম্যাসাজ করুন। এতে যেমন ত্বক মৃতকোষ মুক্ত হবে, তেমনই ত্বকের রন্ধ্রপথও পরিষ্কার হবে। বেকিং সোডায় থাকা একটি বিশেষ উপাদান ব্ল্যাক হেডস এবং হোয়াইট হেডস পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে কার্যকরী।
৩। মধু-চিনি
সমপরিমাণ ব্রাউন সুগার এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করুন স্ক্রাব। মুখে লাগিয়ে মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করুন। ঠোঁটে বা চোখের চারপাশে লাগাবেন না। পাঁচ মিনিট পরে ভালো করে ঘষে তুলে ফেলুন। যদি এর পরে মুখ শুষ্ক দেখায় তবে সামান্য নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মুখে মেখে নিতে পারেন।
মধুতে আছে ব্যাকটেরিয়া রোধক উপাদান। ব্রাউন সুগার স্পর্শকাতর ত্বক থেকে যত্ন করে তুলে দেয় মৃত কোষ। সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করলে ব্ল্যাক হেডস বা হোয়াইট হেডসের সমস্যা থাকবে দূরে।